বাসস্ট্যান্ড, নাকি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ? পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং ব্লকের প্রাণকেন্দ্র তেমাথানি এলাকায় তৈরি হয়েছে এমনই অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা যুক্ত একটি বাস যাত্রী প্রতীক্ষালয়। পূর্ত দফতরের উদ্যোগে প্রায় ৯৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ঝাঁ চকচকে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত প্রতীক্ষালয়ের উদ্বোধন হলো সম্প্রতি।
যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ দূর করে এবার রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে আর অপেক্ষা করতে হবে না।
কী কী সুবিধা রয়েছে এই প্রতীক্ষালয়ে?
পূর্ত দফতরের উদ্যোগে তৈরি হওয়া এই যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি অত্যাধুনিক সুবিধাযুক্ত:
শীততাপ নিয়ন্ত্রিত: পুরো প্রতীক্ষালয়টি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত।
বিশ্রামাগার: এটি শুধু প্রতীক্ষালয় নয়, এখানে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা শৌচাগার-সহ বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে।
ধারণ ক্ষমতা: একসঙ্গে প্রায় ৩০ জনেরও বেশি মানুষ এই যাত্রী প্রতিক্ষালয়ে আরামে বসতে পারবেন।
প্রায় দুই বছর ধরে কাজ চলার পর অবশেষে পুজোর সময় রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া এটির উদ্বোধন করেন।
তেমাথানি এলাকাটি বিভিন্ন রুটের বাসের মিলনস্থল। তেমাথানি থেকে পটাশপুর, এগরা, কাঁটাখালি, নারায়নগড়, পিংলা, ডেবরা এবং মেদিনীপুর রুটের বাস যাতায়াত করে। স্বাভাবিকভাবেই, এই রুটের কয়েক হাজার যাত্রী এবার থেকে বাস ধরার সময় দারুণ সুবিধা পাবেন। এমন একটি অত্যাধুনিক যাত্রী প্রতীক্ষালয় পেয়ে স্থানীয় বাস যাত্রীরা মন্ত্রী ও পূর্ত দফতরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।