তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের (Kakoli Ghosh Dastidar) ‘কম ভোট’ পাওয়া নিয়ে বিজয়া সম্মিলনীতে প্রকাশ্যে আক্ষেপ ঝরে পড়ল তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর (Chiranjeet Chakraborty) গলায়। তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে বারাসাতের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগোল তৈরি হয়েছে।
বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, “এই রকম একজন বিশিষ্ট, বিদগ্ধ নারী, তিনি এখানে…আমাদের বারাসাত কেন তাঁকে ভোট দেয় না? কেন এখানে কম হয় ভোট? তা আমি বলতে পারছি না, তাঁর একটা ভিতরে দুঃখ আছে…আমারও সেই দুঃখটা আছে, ক্ষোভ আছে।”
চিরঞ্জিত আরও প্রশ্ন তোলেন, “কাকলি ঘোষ দস্তিদার, তিনি কেন আমাদের ভিতর থেকে এই ৩৫টা ওয়ার্ড থেকে ভাল ভোট কেন পান না? যিনি এত কাজ করেন বারাসাতের জন্য, যিনি এত উপস্থিতি দেন আপনাদের সঙ্গে…যিনি এতদিন রাজনৈতিকভাবে গোটা ভারতবর্ষে কাজ করছেন…সাংসদ হিসাবে, তিনি বহু সময়ে স্পিকারের চেয়ারে বসেন…এই রকম একজন বিশিষ্ট, বিদগ্ধ একজন নারী, তিনি এখানে…আমাদের বারাসাত কেন তাঁকে ভোট দেয় না?”
ব্যক্তিগত আক্ষেপের কথা বলতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, “অথচ আমি কিছুই করি না, আমি ভোট পাই…এ এক মজার বিষয়, আমি বুঝতে পারি না কেন।”
তৃণমূল ও বিজেপির প্রতিক্রিয়া
চিরঞ্জিতের এই মন্তব্য নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “চিরঞ্জিৎদা অত্যন্ত সিনিয়র। ওঁর বয়সও হয়েছে। উনি অত্যন্ত সিনিয়র এবং অনেকদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক। ফলে, এটা সম্পূর্ণ ওঁর এবং পার্টির বিষয়। এর সঙ্গে এটুকু জানি, ক্ষোভ-বিক্ষোভের ন্যূনতম সম্পর্ক নেই।”
অন্যদিকে, এই বিষয়টিকে তৃণমূলের ‘গোষ্ঠী কোন্দল’ হিসেবে দেখছেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি বলেন, “কাকলি ঘোষ দস্তিদার বা আমাদের চিরঞ্জিতবাবুর মধ্যে কী কথোপকথন, কে কার বিষয়ে বলছেন, আমরা খুব একটা ইন্টারেস্টেড নই…২০২৬-এ আমাদের সরকার আসছে। বিজেপির সরকার। পশ্চিমবঙ্গে ১০ কোটি মানুষ যাতে বাড়ি, বাথরুম, জল পায়, সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ চাকরি পায়…মহিলারা যেন সুরক্ষা পায়…আমরা সেটা নিয়ে বেশি চিন্তিত। কে কী বলছেন, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল…এটা নিয়ে আমরা ইন্টারেস্টেড নই।”