নারী নিরাপত্তা ইস্যুতে বিজেপির ‘দ্বিমুখী অবস্থান’ নিয়ে ফের একবার তোপ দাগলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টের মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশের উন্নাও ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গরের জামিন পাওয়া নিয়ে কড়া প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। অভিষেকের নিশানায় কেবল বিজেপি নয়, রয়েছে তাদের জোটসঙ্গী দলের মন্ত্রী ওমপ্রকাশ রাজভরের বিতর্কিত মন্তব্যও।
অভিষেক তাঁর পোস্টে লিখেছেন, “ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গরকে জামিন দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপির মিত্র দলের মন্ত্রীরা প্রকাশ্যে নির্যাতিতা ও তাঁদের পরিবারকে নিয়ে উপহাস করছেন। অথচ এই চরম অমানবিকতা সত্ত্বেও বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব রহস্যজনকভাবে নীরব। এটাই কি তবে আজকের ‘বেটি বাঁচাও’-এর আসল রূপ?” তিনি আরও যোগ করেন, যখন দোষীরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায় এবং ক্ষমতাবানরা ভুক্তভোগীদের নিয়ে মস্করা করে, তখন তা কেবল লজ্জার নয়, বরং বিচারপ্রার্থী প্রতিটি পরিবারের প্রতি চূড়ান্ত বিশ্বাসঘাতকতা।
রাজনৈতিক মহলের মতে, আসন্ন নির্বাচনের আগে নারী সুরক্ষা নিয়ে বিজেপিকে কোণঠাসা করতেই এই রণকৌশল নিয়েছেন অভিষেক। ২০১৭ সালে উন্নাওয়ের এক নাবালিকাকে চাকরির টোপ দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন চার বারের বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গর। নিম্ন আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলেও সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্ট সেই নির্দেশ বাতিল করে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে। এই ঘটনাটিকেই হাতিয়ার করে সরব হয়েছে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের দাবি, মুখে নারী সুরক্ষার কথা বললেও বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলোতে অপরাধীরা বিশেষ সুবিধা পাচ্ছে। অভিষেকের এই আক্রমণের পর বিজেপি শিবিরে পালটা চাপ বাড়বে বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।