উৎসবের মরশুমে যখন খাবারের দোকানগুলিতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়, ঠিক তখনই গুণগত মান খতিয়ে দেখতে কড়া অভিযান চালাল সরকারি আধিকারিকরা। ডায়মন্ড হারবারের রেস্তোরাঁ ও বিরিয়ানির দোকানের ফ্রিজ থেকে জমিয়ে রাখা পচা মাংস উদ্ধার করেছেন তাঁরা।
পচা মাংস ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের খোঁজ
ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার জেলা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক প্রসেনজিৎ পটোকদারের নেতৃত্বে ডায়মন্ড হারবার পুরসভার স্বাস্থ্য পরিদর্শক জয়দীপ মণ্ডল এবং পুলিশ ও দমকলের আধিকারিকরা এই অভিযান চালান।
মেয়াদ উত্তীর্ণ মাংস: এলাকার কয়েকটি হোটেল ও রেস্তোরাঁর ফ্রিজে মেয়াদ উত্তীর্ণ মাংস মজুত রাখা হয়েছিল, যা কবে আনা হয়েছে তা নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি।
তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ: আধিকারিকরা সঙ্গে সঙ্গে সেই মাংস পুকুরে ফেলে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
অন্যান্য অসঙ্গতি: এছাড়া তাঁরা জানতে পারেন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে চলছে আরও একাধিক রেস্তোরাঁ। পুরসভার স্বাস্থ্য অফিসার জয়দীপ মণ্ডল জানান, কয়েকটি হোটেলের রান্নাঘর ও মজুত রাখা খাদ্যের গুণগত মান পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে এবং ফুড লাইসেন্সের বৈধতাও খতিয়ে দেখা হয়েছে।
জেলা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক প্রসেনজিৎ পটোকদার বলেন, “ডায়মন্ড হারবার পুরসভা ও ডায়মন্ড হারবার থানার সহযোগিতায় অভিযান চালানো হয়। মেয়াদ উত্তীর্ণ মাংস নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।”
আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি
যদিও উৎসবের মরশুমের কথা মাথায় রেখে এখনই কোনো হোটেল বা রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, তবে প্রশাসন চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
আধিকারিক বলেন, “উৎসবের মরশুমে আমরা কোনও হোটেল এবং রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নিইনি। তাঁদের এক সপ্তাহের সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তাঁরা নিয়মমাফিক কাজ না করলে আমরা কঠোরতম ব্যবস্থা নেব।”
জেলার খাদ্য সুরক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে রেস্তোরাঁ ও হোটেলের মালিকদের সতর্ক করার পাশাপাশি বৈধ কাগজপত্র রাখার কথা জানানো হয়েছে। এক সপ্তাহ পর ফের অতর্কিতে অভিযান চালানো হবে এবং গোলমাল পেলে জেলা খাদ্য দফতরের পক্ষ থেকে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।