যেখানে অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছল না, সেখানে কাঁধে করে মৃত যুবতীর দেহ নিয়ে ১২ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে গ্রামে পৌঁছলেন পরিবারের সদস্যরা। ২০২৫ সালেও ভারতের এক প্রত্যন্ত গ্রামে রাস্তার অভাবে এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটল অন্ধ্রপ্রদেশের পার্বতীপুরম মান্যম জেলার চিন্তামালা গ্রামে।
৪০ বছর বয়সী ওই যুবতী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকার পর সম্প্রতি হাসপাতালেই মারা যান। কিন্তু হাসপাতাল থেকে তাঁর দেহ গ্রামে আনার পথেই দেখা দেয় চরম বিপত্তি। গ্রামে কোনও রাস্তা না থাকায় মৃতদেহ নিয়ে পৌঁছতে পারেনি অ্যাম্বুল্যান্স।
জঙ্গলের পথে ১২ কিমি যাত্রা
অ্যাম্বুল্যান্সের অভাবে নিরুপায় হয়ে পরিবারের সদস্যরা বাঁশের লাঠিতে কাপড় বেঁধে ‘ডোলি’ তৈরি করেন। সেই ডোলিতে যুবতীর দেহ তুলে, কাঁধে করে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে প্রায় ১২ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে গ্রামে পৌঁছতে হয় তাঁদের। এই দীর্ঘ পথ হেঁটে আসার পর ক্লান্ত ও বিধ্বস্ত পরিবারের সদস্যরা শোক ভুলে গিয়েছিলেন।
সালুরু মণ্ডলের কোদামা পঞ্চায়েতের এই গ্রামে রাস্তার অভাবে জীবনযাপনে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় গ্রামবাসীদের। চিকিৎসা থেকে পড়াশোনা—নিত্যদিনের হাজারটা সমস্যা বেড়েই চলেছে রাস্তার অভাবে। এই ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই চরম ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
তেলেঙ্গানাতেও একই দৃশ্য
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাসে দক্ষিণ ভারতের আরও এক রাজ্যে রাস্তার অভাবে প্রায় একই ধরনের হৃদয়বিদারক ঘটনা দেখা গিয়েছিল। তেলেঙ্গানার ভদ্রদ্রি কোথাগুদেম জেলায় প্রবল বৃষ্টিতে কাদায় ভরা রাস্তায় অ্যাম্বুল্যান্স আসতে পারেনি। ফলে প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করা এক অন্তঃসত্ত্বা তরুণীকে বাঁশের ‘ডোলি’তে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। যন্ত্রণার তীব্রতা বাড়তে মাঝপথেই সন্তান প্রসব করেন তিনি। পরে অ্যাম্বুল্যান্স এসে মা ও সদ্যোজাতকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।