ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্টে কেরিয়ারের প্রথম শতরান করে ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন নক্ষত্রের উদয় ঘটালেন উইকেটকিপার-ব্যাটার ধ্রুব জুরেল। শুক্রবার আহমেদাবাদ টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ধৈর্যের সঙ্গে আগ্রাসনের মিশেলে ২১০ বলে ১২৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন তিনি। তবে তাঁর শতরানের চেয়েও বেশি চর্চা হলো জোড়া সেলিব্রেশন নিয়ে।
জোড়া সেলিব্রেশনের রহস্য নিয়ে দিনের খেলার শেষে মুখ খুললেন এই তরুণ তারকা।
বাবার জন্য স্যালুট, সেনাবাহিনীর জন্য ‘গার্ড অফ অনার’
জুয়েল জানান, তাঁর দুটি সেলিব্রেশনের পেছনে রয়েছে গভীর আবেগ ও শ্রদ্ধা:
অর্ধশতরানের সেলিব্রেশন: মুষ্টিবদ্ধ হাত দিয়ে স্যালুট জানানোর ভঙ্গিটি তাঁর বাবা নেম চাঁদকে উৎসর্গীকৃত। নেম চাঁদ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদার এবং কার্গিল যুদ্ধে সামিল ছিলেন। তাঁর এই স্যালুট এখন জুরেলের ‘সিগনেচার সেলিব্রেশন’ হয়ে উঠেছে। এর আগে ২০২৪ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম অর্ধশতরানের পরেও তিনি একই ধরনের সেলিব্রেশন করেছিলেন।
শতরানের সেলিব্রেশন: শতরান পূর্ণ করার পর জুরেল ‘গার্ড অফ অনার’ স্টাইলে সরাসরি ব্যাট তুলে ধরেন। এটি তিনি উৎসর্গ করেন ভারতীয় সেনাবাহিনীকে।
উরবশী বলেন, “আমার অর্ধশতরানের সেলিব্রেশন বাবার জন্য। শতরানের উদযাপন ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য। কারণ আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি ওরা কত পরিশ্রম করে। তাই আমি সবসময় নিজের পারফরম্যান্স ওদের উৎসর্গ করতে চাই। কারণ সেটা ওদের প্রাপ্য।”
ভেঙেও ভাঙল না ২২ বছরের রেকর্ড
এই টেস্টে রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে মিলে স্কোরবোর্ডে ২০৬ রান যোগ করেন জুরেল। তবে একটুর জন্য তাঁরা শচীন তেন্ডুলকর এবং ভিভিএস লক্ষ্মণের একটি রেকর্ড ভাঙতে পারেননি। ২০০২ সালে কলকাতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে এই জুটির পার্টনারশিপ ছিল ২০২ রানের। সেই রেকর্ড টপকে যেতে পারেনি জুরেলরা।
উল্লেখ্য, এর আগে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ জেতার পর ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবও দলকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর উদ্দেশে উৎসর্গ করেছিলেন।