দুর্গাপূজার উৎসবের মাঝেই পরিবেশ ধ্বংসের এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল গোবর্ধনপুরে। অভিযোগ উঠেছে, বাঁধ রক্ষার জন্য বসানো প্রায় ২৭০টি ঝাউ গাছ এবং কিছু ম্যানগ্রোভ গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা কাটা গাছ আটকে বিক্ষোভ দেখান এবং এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জেএফসি-র বিরুদ্ধেই অভিযোগের তীর
গোবর্ধনপুর এলাকা এমনিতেই ভাঙন প্রবণ। স্থানীয়দের দাবি, ২০১৯ সালে আয়লা বাঁধ রক্ষার জন্য এই গাছগুলি লাগানো হয়েছিল। পর্যটকদের কাছে গোবর্ধনপুরকে আকর্ষণীয় করে তুলতে রাজ্য সরকার যেখানে ঝাউ গাছের বন তৈরি করছে, ঠিক সেখানেই এই গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে।
এই বনাঞ্চলের দেখভালের জন্য গঠিত জয়েন্ট ফরেস্ট কমিটি (জেএফসি)-র লোকজনদের বিরুদ্ধেই জঙ্গল কাটার অভিযোগ এনেছেন স্থানীয়রা। অভিযোগের তীর সরাসরি গিয়ে পড়েছে জি প্লট অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক জয়দেব মন্ডল, বুথ সভাপতি সুকদেব ভুঁইয়া ও নজরুল মোল্লার দিকে।
‘অবৈধ কাজ, প্রশাসন উদাসীন’
তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি নুর ইসলাম এই বিষয়ে জানান, অবৈধভাবে গাছ কাটা হয়েছে এবং কোনও নিয়মকানুন মানা হয়নি। তিনি প্রশাসনকে উদাসীন আখ্যা দিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।
গ্রামবাসীরা ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে বন বিভাগকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
বিধায়কের আশ্বাস: ‘ছাড় দেওয়া হবে না’
এই গুরুতর অভিযোগের বিষয়ে পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীর কুমার জানা কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের সরকার আপোষ করে না। কেউ যদি এর সঙ্গে জড়িত থাকেন, তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় দ্রুত নতুন করে গাছ বসিয়ে দেওয়া হবে।