বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে হামলার ঘটনা শুধু রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করেনি, বরং তার প্রতিক্রিয়ায় ‘বদলও হবে, বদলাও হবে’—এই স্লোগান রাজনৈতিক সংঘাতের এক নতুন অধ্যায়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে। মঙ্গলবার কোচবিহারের খাগড়াবাড়িতে এই হামলার অভিযোগের পর শুভেন্দু সরাসরি তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহকে ব্যক্তিগতভাবে নিশানা করেছেন।
শুভেন্দু তার বক্তব্যে ঘটনার জন্য সরাসরি উদয়ন গুহকে দায়ী করে বলেন, “যদি উদয়ন গুহ প্রত্যক্ষ খুনি হন, তবে পরোক্ষ খুনি রাজীব কুমার।” তার এই মন্তব্য তৃণমূলের নেতৃত্ব এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে একটি গুরুতর অভিযোগ। তিনি দাবি করেন যে, তার বুলেটপ্রুফ গাড়ি না থাকলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারত।
শুভেন্দুর এই প্রতিক্রিয়া একাধারে রাজনৈতিক এবং ব্যক্তিগত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। তিনি নিজেকে ‘মমতাকে হারানো লোক’ হিসেবে তুলে ধরেছেন এবং এই হামলাকে সেই পরাজয়ের ফল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তার এই মন্তব্য তৃণমূলের প্রতি তার তীব্র বিরোধিতার প্রতিফলন।
তিনি তার ভাষণে এসআইআর প্রসঙ্গে বাংলাদেশি মুসলিম ও রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কথাও বলেছেন, যা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে ধর্মীয় মেরুকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই ঘটনাটি তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে বাড়তে থাকা সংঘাতকে আরও তীব্র করবে। শুভেন্দুর এই কড়া প্রতিক্রিয়া থেকে বোঝা যায়, বিজেপি এই বিষয়টিকে কেবল একটি হামলার ঘটনা হিসেবে না দেখে, বরং একটি রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে। তার ‘হিসাব আমি নেব’ এবং ‘বদলও হবে, বদলাও হবে’—এই ধরনের মন্তব্য আগামী দিনে রাজ্য রাজনীতিতে আরও সংঘাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে।