উত্তর-পূর্বের লাইফলাইন! মিজোরাম-নাগাল্যান্ডে রেলের বিপ্লব, যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে রেকর্ড সাফল্য

মিজোরামের ভৈরবী-সাইরাং এবং নাগাল্যান্ডের মলভোম-এ নতুন রেললাইন চালু হওয়ার পর থেকেই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ ও বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত খুলেছে। মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিষেবা উভয় ক্ষেত্রেই বিপুল সাড়া পাওয়া গিয়েছে, যা এই অঞ্চলে সরাসরি এবং নির্ভরযোগ্য রেল সংযোগের জোরালো চাহিদা প্রমাণ করে।

যাত্রী পরিবহনে অবিশ্বাস্য ভিড়: রাজধানী এক্সপ্রেসে ১৬২% যাত্রী
গত ১৩ সেপ্টেম্বর সাইরাং থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়ার পর থেকেই অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে।

বেশ কয়েকটি ট্রেন তাদের ধারণক্ষমতার চেয়েও বেশি যাত্রী নিয়ে চলেছে।

ট্রেন নম্বর ২০৫০৭-এর যাত্রী ধারণক্ষমতা ১৬২.৫%-এ পৌঁছেছে, যা এক বিশাল সাফল্য।

এর ফিরতি পরিষেবা, রাজধানী এক্সপ্রেস (ট্রেন নম্বর ২০৫০৮) ১৫৮.৩% যাত্রী ধারণক্ষমতা অর্জন করেছে।

গুয়াহাটি এবং নতুন চালু হওয়া কলকাতা পরিষেবাগুলিতেও যাত্রীদের দারুণ জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করা গেছে।

এই প্রবণতাগুলি স্পষ্ট করে যে মিজোরামের মানুষ এতদিন কতটা অধীর আগ্রহে এই রেল সংযোগের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

পণ্য পরিবহনে রেকর্ড: সিমেন্ট, পাথর ও বালি নিয়ে ছুটছে মালগাড়ি
যাত্রী পরিষেবার পাশাপাশি পণ্য পরিবহনেও রেকর্ড গড়েছে নতুন রেললাইনগুলি।

সাইরাং স্টেশন: ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই স্টেশনে মোট আটটি রেক খালাস করা হয়েছে।

প্রথম রেকটি সিমেন্ট নিয়ে এসেছিল।

এরপর পাথর, অটোমোবাইল, আরএমসি এবং বালি নিয়ে আসা হয়েছে।

১৯ সেপ্টেম্বর সাইরাং থেকে প্রথম পার্সেল চালানটিও বুক করা হয়।

মলভোম স্টেশন (নাগাল্যান্ড): নাগাল্যান্ডের এই স্টেশনটিও ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে মালবাহী কার্যক্রমে প্রবেশ করেছে।

তেলেঙ্গানা থেকে ৪১টি ওয়াগন সিমেন্ট নিয়ে গঠিত প্রথম রেকটি ২৪ সেপ্টেম্বর মলভোমে সফলভাবে পৌঁছায়।

২৯ সেপ্টেম্বর প্রথম বহির্গামী রেল চালানো হয়, যেখানে পাথরের টুকরো নিয়ে ৪২টি ওয়াগন মলভোম থেকে জিরানিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

যাত্রী এবং মালবাহী উভয় পরিষেবার ক্ষেত্রেই এই ক্রমবর্ধমান চাহিদা প্রমাণ করে যে রেল যোগাযোগ কীভাবে দ্রুত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান এবং আঞ্চলিক অর্থনীতিকে বদলে দিচ্ছে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy