মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে আবারও ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হলো উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলা। মঙ্গলবার দুপুরে ধরলী গ্রামে ক্ষীরগঙ্গা নদীর ক্যাচমেন্ট এলাকায় হড়পা বান ও কাদা ধস নামার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে এবং ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।
ঘটনার পরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে আসা ঘোলাটে জলের স্রোত এবং ধ্বংসাবশেষের ঢেউ মুহূর্তের মধ্যে বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং গাছপালা ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা আতঙ্কে চিৎকার শুরু করেন এবং নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হোটেল থেকে শুরু করে বাজার পর্যন্ত সব ধ্বংস হয়ে গেছে।
হড়পা বানের কারণে পবিত্র গঙ্গোত্রী ধামের সব সংযোগকারী সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ এই ঘটনা ঘটে, যা স্থানীয় হরসিল এলাকায় ভারতীয় সেনার ক্যাম্পের মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, ঘটনার খবর পেয়েই এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য দল যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলে পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন।
এই ভয়াবহ বিপর্যয়ে নিখোঁজদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা ক্রমশ কমে আসছে। প্রশাসন দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করছে। রাজ্যের অন্যান্য পাহাড়ি অঞ্চলেও সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।