ইন্দো-প্যাসিফিকে নিরাপত্তা ও উন্নয়ন একে অপরের সঙ্গে যুক্ত! লোহিত সাগরের সংকট-সহ ৩ প্রধান সামুদ্রিক চ্যালেঞ্জের কথা বললেন নৌবাহিনী প্রধান

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা ও উন্নয়নকে ‘একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত’ ঘোষণা করলেন ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠী। সোমবার Indo-Pacific Regional Dialogue (IPRD)-২০২৫-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি স্পষ্ট জানান যে, এই অঞ্চল কেবল শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সহযোগিতার মাধ্যমেই এগিয়ে যেতে পারে।৩০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে অ্যাডমিরাল ত্রিপাঠী ভারতের কৌশলগত নীতির পরিবর্তন ঘোষণা করেন। তিনি জানান, ভারত তার সামুদ্রিক নীতি SAGAR (অঞ্চলে সকলের জন্য নিরাপত্তা এবং বৃদ্ধি) থেকে MAGASAR (অঞ্চল জুড়ে নিরাপত্তা এবং বৃদ্ধির জন্য পারস্পরিক এবং সামগ্রিক অগ্রগতি) পর্যন্ত প্রসারিত করেছে। এর অর্থ হল, ভারত এখন আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং ভাগাভাগি করা উন্নয়নের দিকে আরও বেশি মনোযোগ দেবে।সামুদ্রিক নিরাপত্তার ৩ প্রধান চ্যালেঞ্জনৌবাহিনী প্রধান তাঁর ভাষণে বলেন যে, সমুদ্র কেবল বাণিজ্যের পথ নয়, বরং মানবতার সাধারণ ঐতিহ্য। তবে বর্তমানে সামুদ্রিক নিরাপত্তা একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি:চ্যালেঞ্জের ধরননির্দিষ্ট হুমকি১. বিশ্ব বাণিজ্যে মন্দালোহিত সাগরের সংকট এবং জাহাজ চলাচলের রুটের ব্যাঘাত।২. অবৈধ কার্যকলাপসমুদ্রে অবৈধ মাছ ধরা, মাদক ও অস্ত্র পাচার এবং মানব পাচার বৃদ্ধি।৩. প্রযুক্তিগত হুমকিসাইবার আক্রমণ, জিপিএস জ্যামিং এবং ড্রোন প্রযুক্তি।ভারতের উদ্যোগ: তথ্য সংযোজন ও সহযোগিতা বৃদ্ধিঅ্যাডমিরাল ত্রিপাঠী বলেন, ভারত এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে। তথ্য সংযোজন কেন্দ্র ভারত মহাসাগর অঞ্চল (IFC-IOR) এখন সমগ্র অঞ্চল জুড়ে সামুদ্রিক তথ্য ভাগাভাগির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।তিনি আঞ্চলিক সহযোগিতার উপর জোর দিয়ে বলেন, ভারত বিশ্বাস করে যে প্রকৃত শক্তি হল যা ভাগ করা হয়। এই কারণে ভারত এখন অংশীদার দেশগুলির সাথে যৌথ মহড়া, সহ-উৎপাদন এবং সামুদ্রিক নজরদারি বৃদ্ধি করছে।নৌবাহিনী প্রধানের কথায়, সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং উন্নয়ন হল দুটি চাকা, যা একসাথে কাজ করলেই কেবল এই অঞ্চলকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy