ইতিহাসের সাক্ষী মুর্শিদাবাদের আদি কিরীটেশ্বরী মন্দির! যেখানে দেবী পূজিত হন ‘বিমলা’ রূপে, অন্নভোগে মাছ থাকা কেন বাধ্যতামূলক?

ইতিহাস ও ঐতিহ্যের এক বহুমূল্য সম্পদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মুর্শিদাবাদ জেলার আনাচে-কানাচে। সেই ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আজও বয়ে চলেছে জেলার অন্যতম আদি তীর্থক্ষেত্র, আদি কিরীটেশ্বরী মন্দির। মুর্শিদাবাদ জেলার কিরীটেশ্বরী গ্রামে অবস্থিত এই মন্দিরটি। এটি ৫১ সতীপীঠের অন্যতম হলেও, এখানে দেবী পূজিত হন ‘বিমলা’ রূপে।

এই সতীপীঠকে বাংলার অন্যতম আদি তীর্থক্ষেত্র রূপে বর্ণনা করা হয়। এই মন্দিরের প্রাচীন ইতিহাস ও বহু অলৌকিক কাহিনী রয়েছে, যা ভক্তদের কাছে অত্যন্ত জাগ্রত।

জাগ্রত দেবীর বিশেষ নিয়ম:
আদি কিরীটেশ্বরী বিমলা মন্দিরে প্রতিদিন দেবীর নিত্যপূজা হয়। তবে এখানকার ভোগে রয়েছে এক বিশেষ নিয়ম। দুপুরে দেবীকে যে অন্নভোগ দেওয়া হয়, তাতে ভাজা, তরকারি সহ মাছ থাকা বাধ্যতামূলক। মাছ ছাড়া এই মন্দিরের অন্নভোগ সম্পন্ন হয় না।

এই মন্দিরে বহু দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা পুজো দিতে আসেন। ভক্তদের দাবি, দেবী এখানে অত্যন্ত জাগ্রত এবং মনস্কামনা নিয়ে মানত করলে তা পূরণ হয়।

কালীপুজোয় রাতভর আরাধনা:
কালীপুজোর সময় এই মন্দিরে বিশেষ আরাধনার আয়োজন করা হয়। কালীপুজোর দিন রাতভর দেবীর পুজো চলে। পুজো শেষে এখানে ছাগ বলি দেওয়ারও প্রচলন রয়েছে। এই দিনে একাধিক নিয়ম মেনে পুজো অনুষ্ঠিত হয় এবং দেবীকে দেওয়া হয় নানা ধরনের ভোগ। কথিত আছে, যে যা মনস্কামনা নিয়ে আসেন, দেবী তাঁদের মনস্কামনা পূরণ করেন।

মুর্শিদাবাদের এই মন্দিরটি কেবল একটি তীর্থক্ষেত্র নয়, এটি বাংলার ইতিহাসের এক অমূল্য সম্পদ, যা প্রাচীন রীতি ও ঐতিহ্যকে আজও বহন করে চলেছে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy