বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজতেই অবশেষে জোটের জট কাটানোর চূড়ান্ত ঘোষণা করতে চলেছে বিরোধী মহাগঠবন্ধন। সূত্রের খবর, মঙ্গলবারই জোটের আসনরফার বিস্তারিত তথ্য ঘোষণা করা হতে পারে। এই সমঝোতায় রাষ্ট্রীয় জনতা দল (RJD) সবচেয়ে বেশি আসনে, প্রায় ১৩৫ আসনে লড়তে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে।
আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদবের দলের তুলনায় কংগ্রেসকে আসন সংখ্যা কমাতে হয়েছে। সূত্রের দাবি, কংগ্রেস এবার ৬০ থেকে ৬১টি আসনে লড়তে পারে, যা গতবারের তুলনায় প্রায় ৯ থেকে ১০টি কম। জোট শরিকদের জন্য এই ত্যাগ স্বীকার করতে রাজি হয়েছে কংগ্রেস হাই কমান্ড।
জোটের রণনীতি ও বামেদের ভূমিকা
সোমবার দিল্লিতে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা কেসি বেণুগোপাল, রাজেশ রাম-সহ অন্যান্যদের সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠক করেন। জানা গিয়েছে, এই বৈঠকেই জোটের সমন্বয়, রণনীতি এবং নির্বাচনী প্রচার কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
জোটের অন্য শরিকদের মধ্যে বামেরা এবার বিহারে ২৯ থেকে ৩০ আসনে লড়াই করতে পারে। হেমন্ত সোরেনের জেএমএম সহ ভিআইপি এবং অন্যান্য ছোট শরিকদের জন্য ১৭ থেকে ১৮টি আসন ছাড়া হতে পারে।
এদিকে, প্রশান্ত কিশোরের জনসুরজ পার্টি প্রথমে ৫১ এবং আজ ৬৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে, তবে এই তালিকায় দলের প্রধান প্রশান্ত কিশোরের নাম নেই।
ভোটের আগে চাপে লালু পরিবার: তেজস্বীর পাল্টা হুঙ্কার
একদিকে যখন নির্বাচনের দামামা বাজছে, ঠিক তখনই আইআরসিটিসি দুর্নীতি মামলায় লালুপ্রসাদ যাদব, রাবড়ি দেবী এবং পুত্র তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ষড়যন্ত্র ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মতো অভিযোগ উঠেছে বর্ষীয়ান নেতার বিরুদ্ধে।
তবে লালু পরিবার এই সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছে এবং এটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলা বলে দাবি করেছে। তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এক্স-এ তেজস্বী যাদব লেখেন, “যতদিন দাঙ্গাবাজ এবং সংবিধান বিরোধী বিজেপি ক্ষমতায় থাকবে এবং আমি বেঁচে থাকব, ততদিন বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব।”
তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্য টেনে এনে আরও বলেন, “এক মাস আগে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিহারে এসে আমাদের হুমকি দিয়েছিলেন, নির্বাচনে লড়ার জন্য যোগ্য রাখবেন না। আমরা লড়ব এবং জিতব। আমরা বিহারি, আমরা বহিরাগতদের ভয় পাই না।”