আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির ভারত সফরের মধ্যেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS)-কে ‘তালিবান’-এর সঙ্গে তুলনা করে বিতর্কের জন্ম দিলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার ছেলে যতীন্দ্র সিদ্দারামাইয়া। যতীন্দ্রের এই মন্তব্যে কর্ণাটক রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় যতীন্দ্র সিদ্দারামাইয়া (Yathindra Siddaramaiah) RSS-এর মানসিকতাকে তালিবানের সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, “ওদের (RSS) মানসিকতা তালিবানদের মতোই। ওরা একটি ধর্মে কেবল একটি দৃষ্টিভঙ্গি থাকাকেই উচিত মনে করে। ঠিক যেমন তালিবানরা ইসলামের বিষয়ে ‘ডিকটেট’ জারি করে, যাতে একটি নির্দিষ্ট উপায়ে তারা নারীদের স্বাধীনতা খর্ব করতে পারে। একইভাবে, আরএসএসও হিন্দু ধর্ম নিয়ে একইরকম করতে চায়।”
আইনি রেজিস্ট্রেশন এবং কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি:
কর্ণাটকের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী প্রিয়াঙ্ক খারগে এবং কংগ্রেস নেতা বি কে হরিপ্রসাদের সুরেই যতীন্দ্র এদিন RSS-এর আইনি রেজিস্ট্রেশন এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি তোলেন।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “আরএসএস নিজেদেরকে অনেক বড় সংগঠন বলে দাবি করে। দিল্লিতে তাদের একটি ভবন আছে যেখানে হাজার হাজার কোটি টাকা (তহবিল) আছে। তবুও তারা আইনতভাবে নিবন্ধিত নয়। এটি একটি প্রভাবশালী সংগঠন এবং তাদের আইন মেনেই কাজ করতে হবে। আমার মতে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া সংঘের কাজ করা ভুল।”
বিজেপির পাল্টা জবাব:
মুখ্যমন্ত্রী পুত্রের এই মন্তব্যের পর যদিও RSS সরাসরি কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি, তবে ময়দানে নেমে তীব্র জবাব দিয়েছে বিজেপি। কর্ণাটক বিজেপি ইউনিটের প্রধান বি ওয়াই বিজয়েন্দ্র এক্সে লেখেন, “কেউ RSS-কে নিষিদ্ধ বা দমন করতে পারবে না। জাতীয়তাবাদ এবং সামাজিক সংস্কারের আদর্শ সর্বদা দেশবিরোধী কংগ্রেসের বিরুদ্ধে জয়লাভ করবে।”
উল্লেখ্য, এর আগে প্রিয়াঙ্ক খারগেও সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও দফতর প্রাঙ্গনে RSS-এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, RSS সরকারি স্কুল-কলেজের মাঠ ব্যবহার করে প্রদর্শনী ও স্লোগান দিচ্ছে এবং শিশুদের মনে এর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিজেপি প্রধান বিজয়েন্দ্র সেই সময়েও বলেছিলেন, “RSS-কে নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা কংগ্রেসের নেই।”