রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আজ নয়াদিল্লির ড. বি আর আম্বেদকর আন্তর্জাতিক কেন্দ্রে এক জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই বিশেষ সমারোহে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অনুষ্ঠানে তিনি আরএসএস-এর ঐতিহাসিক ভূমিকা, দেশের সেবা এবং সংস্কৃতি প্রসারে সংগঠনটির অবদানের কথা তুলে ধরেন।
মোদীর হাতে স্মারক কয়েন ও স্ট্যাম্প উদ্বোধন
এই বিশেষ দিনে প্রধানমন্ত্রী মোদী আরএসএস-এর শতবর্ষ এবং ভারত মাতার প্রতি শ্রদ্ধার প্রতীক হিসেবে নির্মিত একটি বিশেষ স্মারক কয়েন এবং একটি স্ট্যাম্প টিকিট উদ্বোধনের ঘোষণা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আরএসএস গত একশো বছর ধরে দেশের সেবায় নিবেদিত রয়েছে। এই সংগঠন শুধুমাত্র জাতীয়তাবাদের চেতনাকে জাগ্রত করেনি, বরং সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেবা, শিক্ষা এবং সংস্কৃতির প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।” তিনি আরএসএস-এর প্রতিষ্ঠাতা ড. কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের স্বপ্ন আজও তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করছে বলেও উল্লেখ করেন।
স্মারক কয়েন: এই নতুন কয়েনটিতে একদিকে আরএসএস-এর প্রতীক এবং অন্যদিকে ভারত মাতার প্রতিকৃতি খোদাই করা হয়েছে।
স্ট্যাম্প টিকিট: প্রকাশিত স্ট্যাম্পটিতে সংগঠনের প্রতিষ্ঠার ইতিহাস এবং ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন যে, এই স্মারক কয়েন ও স্ট্যাম্প ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আরএসএস-এর ত্যাগ ও সেবার গল্প বহন করবে।
জাতীয় ঐক্যই আরএসএস-এর লক্ষ্য: মোহন ভাগবত
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আরএসএস-এর সরসঙ্ঘচালক ড. মোহন ভাগবত, যিনি সংগঠনের শতবর্ষী ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি স্পষ্ট জানান:
“আরএসএস কখনোই কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিল না। আমাদের লক্ষ্য সবসময়ই সমাজকে সংগঠিত করে জাতীয় ঐক্য ও সমৃদ্ধি অর্জন করা।”
তিনি জানান, শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সারা দেশে বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হবে, যার মধ্যে রয়েছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং গ্রামীণ উন্নয়নের উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী মোদী এই মঞ্চ থেকে আরএসএস-এর স্বয়ংসেবকদের প্রশংসা করে বলেন, “আপনারা প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দেশের সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করেছেন।”