রাজভবনকে ‘জনগণের ভবন’ করে তোলার বার্তা নিয়ে শুক্রবার দুপুরে আচমকাই দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারে হাজির হলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাষ্ট্রপতির সফরসঙ্গী হিসেবে অন্ডাল আসার পর, এই অনাকাঙ্ক্ষিত বাজার পরিদর্শনে তিনি শুধু হালকা চায়ে চুমুক দেননি, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে তাঁদের সমস্যার কথাও শোনেন।
আজ সকালে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে স্বাগত জানাতে রাজ্যপাল অন্ডাল বিমানবন্দরে এসেছিলেন। রাষ্ট্রপতি বাংলা থেকে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার পরই রাজ্যপাল সরাসরি বেনাচিতি বাজারে চলে আসেন। বাজারে এসে তিনি স্থানীয় ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেন, তাঁদের দৈনন্দিন জীবন ও বাজার সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেন। রাজ্যপালকে এত কাছ থেকে দেখে সাধারণ মানুষও আনন্দে আপ্লুত হয়ে ওঠেন।
চা পানের পাশাপাশি, রাজ্যপাল নিজে হাতে টাকা দিয়ে বাজার থেকে বরবটি, টমেটো, এবং পেঁয়াজ কিনে নেন। এটি সাধারণ মানুষের কাছে তাঁর সহজলভ্যতা এবং তাদের জীবনের অংশীদার হওয়ার ইচ্ছাকেই তুলে ধরে।
রাজ্যপালের বার্তা:
বাজার পরিদর্শনের পর রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস বলেন, “অনেক সময়ে সঠিক খবর পাওয়া যায় না। জনসাধারণের সঙ্গে কথা বলতে বাজারে এসেছি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভিজ্ঞতা জানলাম। আমি চাই রাজভবন জনগণের ভবন হোক।” ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলার পর তিনি তাদের হাতে চকলেটও তুলে দেন।
রাষ্ট্রপতির সফর ও রাজ্যপালের পরবর্তী কর্মসূচি:
আজ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। দুপুরে দুর্গাপুরের গড় জঙ্গলে নেকড়ে বৃদ্ধির খবর এবং বন দপ্তরের ট্র্যাপ ক্যামেরায় নজরদারি নিয়েও স্থানীয়দের মধ্যে আলোচনা শোনা যায়।
রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস দুপুর তিনটের সময় পুনরায় অন্ডাল বিমানবন্দরে যাবেন, যখন রাষ্ট্রপতি অন্ডাল থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন। বাজার ঘুরে রাজ্যপাল এরপর দুর্গাপুরের সার্কিট হাউসে ফিরে যান। রাজ্যপালের এই ধরনের উদ্যোগ সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রশাসনের দূরত্ব কমানোর ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।