সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের আলোচিত ছবি ‘দেবী চৌধুরাণী’, যেখানে তাঁর অভিনয় সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। এই ছবির সাফল্যের জোয়ারে ভাসছেন নায়িকা। একদিকে পেশাদার জীবন, অন্যদিকে ছেলে অভিমন্যু তথা ঝিনুককে সামলানো—সিঙ্গল মাদার শ্রাবন্তী দুটো ক্ষেত্রেই সফল। খুব অল্প বয়সে মা হওয়ায়, ছেলে ঝিনুকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক মা-ছেলের চেয়েও বেশি বন্ধুর। সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নিজের মাতৃত্বের অভিজ্ঞতা ও ছেলের সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে মুখ খুললেন শ্রাবন্তী।
নায়িকা জানান, “দেবী চৌধুরাণী নিয়ে আমার ছেলে প্রথম থেকেই আশাবাদী ছিল। ও আমার বন্ধু, আমার সমালোচক, আমার জীবন, আমার অ্যাঞ্জেল, আমার সবকিছু আমার ছেলে। ঝিনুকের বলা সব কটা কথা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ।” শ্রাবন্তী আরও বলেন, তাঁর ছেলে শুরু থেকেই বলেছিল যে এই ছবিতে দর্শকেরা এক অন্য ধরনের শ্রাবন্তীকে দেখতে পাবেন।
ছোট বয়সে মা হওয়ার সুবিধা-অসুবিধা
ছেলে ঝিনুককে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শ্রাবন্তী জানান যে ছেলের সঙ্গে তাঁর খুনসুটি লেগেই থাকে। দিদি ও ভাইয়ের মধ্যে যেমন সম্পর্ক হয়, ঠিক তেমনই ঝিনুক ও মা শ্রাবন্তীর মধ্যে সেই ধরনের খুনসুটি চলে। আসলে মাত্র ১৬ বছর বয়সে ঝিনুক শ্রাবন্তীর কোলে আসে। টলিউডে কেরিয়ার শুরু করতে না করতেই বিয়ে এবং সন্তান আসে তাঁর জীবনে।
মাতৃত্বের দায়িত্বে কোনও ফাঁক রাখেননি শ্রাবন্তী। তিনি বলেন, “ছোট বয়সে মা হওয়ার অনেক সুবিধা রয়েছে। যেমন, ঝিনুক হওয়ার পাঁচ বছর পরে আবার আমি কাজে ফিরি। তখন আমার মাত্র ২১ বছর বয়স। তবে এটা সত্যি, ১৬ বছরটা মা হওয়ার জন্য খুবই কম বয়স। ওটা বাড়াবাড়ি।”
বন্ধুর মতো সম্পর্ক, ‘দিদি’ বলে ডাকেন ঝিনুকের বন্ধুরা
মা ও ছেলের মধ্যে বয়সের পার্থক্য মাত্র ১৬ বছর। আর এই অল্প ব্যবধানের কারণেই শ্রাবন্তীর সঙ্গে তাঁর ছেলের বন্ধুদের সম্পর্কও বন্ধুর মতো। ঝিনুকের বন্ধুরা শ্রাবন্তীকে ‘আন্টি’ নয়, বরং ‘দিদি’ বলে ডাকেন।
বর্তমানে ২০-এর কোঠায় থাকা শ্রাবন্তীর ছেলে অভিমন্যু নিজের জীবনে চুটিয়ে প্রেম করছেন। বাবা রাজীব বিশ্বাসের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক ভালো। প্রায়শই ছেলে এবং তাঁর প্রেমিকা দামিনীকে নিয়ে ছবি পোস্ট করতে দেখা যায় নায়িকাকে।