সরকারি আমলার নাম ব্যবহার করে ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণার ফাঁদে পা দিলেন ভাঙড় ২ ব্লকের এক সরকারি কর্মী। প্রাক্তন যুগ্ম বিডিও-র ফেসবুক ও ফোন নম্বর ‘হ্যাক’ (Hack) করে সেই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে পুরনো আসবাবপত্র বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে ওই কর্মীর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক।
প্রতারিত সরকারি কর্মীর নাম আশরাফুল রহমান, যিনি ভাঙড়-২ ব্লকের মিড-ডে মিল প্রকল্পে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করেন।
কম দামে আসবাব বিক্রির প্রলোভন
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সূত্রপাত রবিবার। আশরাফুল রহমানের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে ভাঙড় ২ ব্লকের প্রাক্তন যুগ্ম বিডিও মণিমিত্রা মুখোপাধ্যায়ের নামে একটি প্রোফাইল থেকে মেসেজ আসে।
বার্তায় জানানো হয়, বিডিও-র এক পরিচিত সিআরপিএফ অফিসার কলকাতা থেকে ট্রান্সফার হচ্ছেন, তাই তিনি টিভি, ফ্রিজ, সোফা, খাট, ওয়াশিং মেশিন-সহ দামি আসবাবপত্রগুলি কম দামে বিক্রি করতে চান।
প্রতারণা: আশরাফুল রহমান সে সব কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং সিআরপিএফ অফিসার সন্তোষ কুমার বলে পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তির সঙ্গে ৭০ হাজার টাকায় রফা করেন। অগ্রিম হিসেবে তিনি অনলাইনে ২০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন।
সন্দেহ এবং প্রতারণা ফাঁস
টাকা পাঠানোর পরই আশরাফুলের সন্দেহ হয়। তিনি সিআরপিএফ অফিসারের পরিচয় দেওয়া ব্যক্তির মোবাইল বন্ধ পান। সরাসরি প্রাক্তন যুগ্ম বিডিও মণিমিত্রাকে ফোন করলেও তাঁর নম্বরও বন্ধ ছিল। পরে মণিমিত্রার মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, কয়েক দিন আগেই তাঁর ফোন নম্বর ও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে।
প্রতারিত হয়েছেন বুঝে আশরাফুল রহমান ভাঙড় ডিভিশনের সাইবার ক্রাইম শাখায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বলেন, “পরিচিত ম্যাডামের নাম দেখেই বিশ্বাস করে ফেলেছিলাম। ভাবিনি, এ ভাবে প্রতারিত হতে পারি।”
পুলিশ জানিয়েছে, আশরাফুল ছাড়াও আরও কয়েক জনকে একই ভাবে মেসেজ পাঠানো হয়েছিল। ভাঙড় ডিভিশনের সাইবার ক্রাইম সেল গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং সাধারণ মানুষকে সাইবার ক্রাইম নিয়ে আরও সচেতন থাকার বার্তা দিয়েছে।