“ভারতের ২০০০ কিলোমিটার জমি চিন দখল করে নিয়েছে” – ২০২২ সালে ভারত জোড়ো যাত্রার সময় কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন তিনি। শীর্ষ আদালত এই বিষয়ে একটি নোটিসও জারি করেছে।
সোমবার বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি এজি মাসিহের বেঞ্চে রাহুল গান্ধীর আবেদনের শুনানি চলছিল। শুনানির সময় বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত প্রশ্ন তোলেন, “আপনি কী করে জানলেন ভারতের ২০০০ কিলোমিটার জমি চিন দখল করে নিয়েছে? যদি আপনি সত্যি ভারতীয় হতেন, তবে এই ধরনের কথা বলতেন না!” তিনি আরও প্রশ্ন করেন, “আপনি কি ওখানে (সীমান্তে) ছিলেন? আপনার কাছে কি বিশ্বাসযোগ্য কোনও তথ্য রয়েছে? বিরোধী দলনেতা হয়ে আপনি কীভাবে এই কথা বলতে পারেন? সংসদে এই ধরনের প্রশ্ন তোলেন না কেন?”
রাহুল গান্ধীর পক্ষে মামলা লড়ছিলেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। তিনি পাল্টা বলেন, “যদি উনি এই কথাগুলি না বলতে পারেন, তাহলে তিনি বিরোধী দলনেতা কীভাবে হবেন?” এর প্রত্যুত্তরে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বলেন, “তাহলে এই কথাগুলি সংসদে কেন বলেন না?”
প্রসঙ্গত, ভারতীয় সেনা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের হয়। তিনি বলেছিলেন যে অরুণাচল প্রদেশে ভারতীয় সেনা চিনের লাল ফৌজের কাছে মার খেয়েছে এবং গালওয়ানে সংঘর্ষের পর চিন ভারতের ২০০০ কিলোমিটার জমি দখল করে নিয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে নরেন্দ্র মোদী সরকার আত্মসমর্পণ করেছেন।
তাঁর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এলাহাবাদ হাইকোর্টে মানহানির মামলা করেন উদয় শঙ্কর শ্রীবাস্তব। তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে রাহুল গান্ধী চিনের সঙ্গে সংঘাত নিয়ে ভারতীয় সেনা সম্পর্কে একাধিক অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। এলাহাবাদ হাইকোর্টের তরফে রাহুল গান্ধীর আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। গত ২৯ মে এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি সুভাষ বিদ্যার্থী পর্যবেক্ষণে বলেছিলেন যে বাক স্বাধীনতা সেনার অবমাননাকর মন্তব্য করার অধিকার দেয় না। এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় খারিজ হওয়ার পর রাহুল গান্ধী সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন। এদিন সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে নোটিস জারি করে।