বাংলাদেশে হিন্দু যুবক দীপু দাসকে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে মারার ঘটনার প্রতিবাদে তপ্ত কলকাতার রাজপথ। সেই বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি এবং গ্রেফতারির ঘটনায় শুক্রবার গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল আলিপুর আদালত। ধৃত ১২ জন বিক্ষোভকারীরই জামিন মঞ্জুর করল আদালত।
পুলিশের ‘আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র’ তত্ত্ব ও হেফাজতের দাবি: এদিন আদালতে শুনানির সময় ধৃতদের ১২ দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়ে তীব্র সওয়াল করেন সরকারি আইনজীবী। তাঁর দাবি ছিল, এই বিক্ষোভ স্রেফ স্বতঃস্ফূর্ত ছিল না, এর পেছনে কোনো ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’ বা ‘আন্তর্জাতিক যোগ’ থাকতে পারে। এমনকি এই ঘটনার প্রভাবে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রভাবিত হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করে পুলিশ। সরকারি তরফে ১১ জন সাক্ষীর বয়ান এবং আহত পুলিশকর্মীদের মেডিকেল রিপোর্টও পেশ করা হয়।
আদালতের পর্যবেক্ষণ ও জামিন: অন্যদিকে, বিবাদী পক্ষের আইনজীবীরা দাবি করেন, বিক্ষোভ সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক ছিল এবং এর সঙ্গে কোনো আন্তর্জাতিক যোগের প্রমাণ নেই। পুলিশ অহেতুক কঠোর ধারা প্রয়োগ করছে বলেও তাঁরা অভিযোগ তোলেন। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষে আদালত পুলিশি হেফাজতের আবেদন খারিজ করে দেয়। প্রত্যেককে ৩ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়েছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ: আদালত জামিন দিলেও তদন্ত প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে একই ঘটনায় ধৃত ৭ জন আগেই জামিন পেয়েছিলেন। বর্তমানে ১৯ জন বিক্ষোভকারীই জামিনে মুক্ত। তবে পুলিশের অভিযোগ, ধৃতরা তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করছেন না, যা নিয়ে আগামী দিনে তদন্তের মোড় কোন দিকে ঘোরে, সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।