জেলবন্দি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান-কে নিয়ে তুমুল জল্পনা ছড়িয়েছে গোটা দেশজুড়ে। জল্পনা রটে গিয়েছে যে, জেলের ভিতরেই হয়তো মৃত্যু হয়েছে ইমরান খানের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা পাকিস্তান জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইমরান খান-কে দেখার দাবিতে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে পুলিশের নৃশংস হামলার শিকার হলেন তাঁর তিন বোন ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির সমর্থকরা।
তিন বোনের ওপর পুলিশের মার:
ইমরানের তিন বোন—নরিন খান, আলিমা খান ও উজমা খান—গত তিন সপ্তাহ ধরে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। এমনকি খাইবার পাখতুনখার মুখ্যমন্ত্রী সোহেল আফ্রিদিকেও দেখা করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
বুধবার তারা জেলের বাইরে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের উপর বেধড়ক মারধর করে।
ইমরান খানের বোন নোরিন নিয়াজি বলেন:
“আমরা ইমরানের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাই শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলাম। আমরা কোনও রাস্তা ব্লক করিনি, না কোনও বেআইনি কাজ করেছি। তাও কোনও কথা ছাড়াই রাস্তার লাইট নিভিয়ে দেয় এবং নৃশংসভাবে হামলা চালায়। আমাদের চুলের মুঠি ধরে টানা হয়, মাটিতে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়।”
তিন বোন পঞ্জাব পুলিশের প্রধান উসমান আনওয়ারকে লেখা চিঠিতে পুলিশের এই অত্যাচারের নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
আগেও উঠেছে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ:
প্রসঙ্গত, তেহখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০২৩ সাল থেকে ইমরান খান রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে রয়েছেন। এর আগেও বেশ কয়েকবার তাঁর উপর জেলে অত্যাচার, এমনকি বিষ দিয়ে হত্যার অভিযোগও উঠেছিল, তবে কোনওবারই সত্য সামনে আসেনি। এবার দীর্ঘ তিন সপ্তাহ ধরে দেখা করতে না দেওয়ায়, ইমরানের মৃত্যু জল্পনা আরও তীব্র হয়েছে।