আকাশে ‘গেম চেঞ্জার’ মোদী-পুতিন চুক্তি! কেন SU-57 হাতে এলে ক্ষমতা বাড়বে বায়ুসেনার?

ভারতীয় বিমান বাহিনীর জন্য এক ‘সোনালী সুযোগ’ নিয়ে ৪ ও ৫ ডিসেম্বর ভারত সফরে আসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই সফরের মূল আকর্ষণ হল রাশিয়ার সঙ্গে অত্যাধুনিক SU-57 (Fifth Generation Fighter Jet) যুদ্ধবিমান নিয়ে চূড়ান্ত চুক্তি। এই চুক্তি সম্পন্ন হলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনার ক্ষমতা এক লাফে বহু গুণ বৃদ্ধি পাবে।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, ফরাসি রাফাল (Rafale) জেটের সঙ্গে SU-57-এর যুগলবন্দি হলে ভারত এশিয়ার আকাশে এক অপ্রতিরোধ্য শক্তিতে পরিণত হবে। এর ফলে ভারতীয় বিমান বাহিনীর ক্ষমতা কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ বাড়বে, যা ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর মতো পরিস্থিতিতে ভারতকে সামরিক ক্ষেত্রে বাড়তি মাইলেজ দেবে।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ ইতিমধ্যেই নিশ্চিত করেছেন, পুতিনের এই সফরে SU-57 এবং S-400 প্রতিরক্ষা সিস্টেম নিয়েই মূল আলোচনা হবে। রাশিয়ান রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিরক্ষা সংস্থা রোস্টেক-এর সিইও সের্গেই চেমেজভ দুবাই এয়ারশোতে ঘোষণা করেছিলেন, “ভারত SU-57 হোক বা S-400, যেটাই চাইবে, আমরা সেটাই সরবরাহ করব।”

আমদানি ও উৎপাদন পরিকল্পনা:

প্রাথমিক পর্যায়ে ভারত ৫০ থেকে ৬০টি SU-57 আমদানি করবে।

পরবর্তী ধাপে, হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) নাসিকের প্ল্যান্টে ১২০-১৪০টি জেট উৎপাদন করবে।

প্রতিটি জেটের দাম পড়বে প্রায় ৬৭০-৮০০ কোটি টাকা, যা আমেরিকান F-35 ($110 মিলিয়ন)-এর চেয়ে যথেষ্ট সস্তা।

রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৮ সালের মধ্যে ভারতে প্রতি বছর ২০টি জেট উৎপাদন শুরু হবে।

SU-57-এর ভয়ঙ্কর বৈশিষ্ট্য:

SU-57 একটি সম্পূর্ণ পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান। এর সবচেয়ে বড় অস্ত্র হলো R-37M মিসাইল, যার পাল্লা ৩০০-৪০০ কিলোমিটার। এটি দূর থেকে পাকিস্তান ও চিনের যুদ্ধবিমানগুলিকে টার্গেট করতে সক্ষম। এটিতে থাকা 3D থ্রাস্ট ভেক্টরিং ইঞ্জিন (AL-51) মাঝ-আকাশে ১৮০° ঘোরার ক্ষমতা রাখে, যা ডগফাইটে একে অপ্রতিরোধ্য করে তোলে। এছাড়াও, ব্রহ্মোস-এ এবং হাইপারসনিক মিসাইল বহনের ক্ষমতা এই বিমানকে আরও ভয়ঙ্কর করে তুলেছে।

প্রতিপক্ষের উপর প্রভাব:

চিন: চিনের কাছে ২০০টিরও বেশি J-20 স্টিলথ জেট থাকলেও, SU-57-এর উন্নত থ্রাস্ট ভেক্টরিং এবং ৩০০ কিমি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র লাদাখ সীমান্তে ভারতকে শক্তিশালী করবে এবং ভারত মহাসাগরে চিনা নৌবাহিনীকে প্রতিহত করতে সাহায্য করবে।

পাকিস্তান: পাকিস্তানের হাতে থাকা JF-17 এবং J-10C (PL-15 ক্ষেপণাস্ত্র, ২০০ কিমি) SU-57-এর সামনে প্রায় অকেজো হয়ে পড়বে। SU-57-এর ৩০০ কিমি পাল্লা এটিকে দূর থেকে বিমানঘাঁটি ধ্বংস করার ক্ষমতা দেবে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy