আইন রক্ষকের বিরুদ্ধেই উঠল এক জঘন্য অপরাধের অভিযোগ। তল্লাশির নামে ১৯ বছর বয়সি এক তরুণীকে আটক করে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তামিলনাড়ু পুলিশের দুই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজ্যের তিরুভান্নামালাই জেলায়। অভিযুক্ত দুই পুলিশ অফিসারকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তরা হলেন তিরুভান্নামালাইয়ের জেলা পূর্ব পুলিশ স্টেশনের কর্মরত কনস্টেবল ডি সুরেশরাজ এবং কনস্টেবল পি সুন্দর।
গভীর রাতে ঘটে গেল চরম অপরাধ
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গত সোমবার রাতে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে নির্যাতিতা তরুণী তাঁর মায়ের সঙ্গে তিরুভান্নামালাইতে ফল বিক্রি করতে গিয়েছিলেন। গভীর রাতে টহলদারিতে থাকা ওই দুই কনস্টেবল তল্লাশির নামে তাঁদের গাড়িটি থামান।
অভিযোগ, এরপর জোর করে তাঁদের রাস্তার পাশে একটি নির্জন স্থানে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মা ও মেয়েকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে। তরুণীকে ধর্ষণ করা হয় এবং তাঁকে আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
যেভাবে প্রকাশ্যে এল ঘটনা
জানা গিয়েছে, তরুণী কোনোমতে নিকটবর্তী গ্রামে পৌঁছে সেখানকার এক বাসিন্দার কাছে সাহায্য চান। স্থানীয় বাসিন্দারাই তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে নির্যাতিতার শারীরিক পরিস্থিতি পরীক্ষা করার পর চিকিৎসকই পুলিশে খবর দেন।
প্রাথমিক তদন্তের পর জেলার মহিলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই তদন্তের ভিত্তিতেই কনস্টেবল সুন্দর এবং সুরেশ রাজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দুজন অভিযুক্ত কনস্টেবলকেই সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ডিএমকে সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আক্রমণ
আইন রক্ষকদের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগের পর রাজ্যের নারী নিরাপত্তা নিয়ে ডিএমকে সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরা। এআইএডিএমকে-র সাধারণ সম্পাদক এডাপ্পাদি কে পালানিস্বামী সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দিকে আঙুল তুলেছেন।
তিনি বলেন, “রাজ্যে নারীদের কোনো নিরাপত্তা নেই। সংগঠিত অপরাধ থেকেও নারীদের রক্ষা করতে সরকার ব্যর্থ। এই লজ্জাজনক পরিস্থিতির জন্য এই পুতুল মুখ্যমন্ত্রীর ডিএমকে সরকারের লজ্জায় মাথা নত করা উচিত।” তিনি অবিলম্বে দুই বরখাস্ত কনস্টেবলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।