আসন্ন ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (আইএসএল) নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা ক্লাবকর্তা এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। বৃহস্পতিবার এআইএফএফ এবং আইএসএল ক্লাবগুলোর প্রতিনিধিদের বৈঠকে যে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, তাতে সেপ্টেম্বরের উইন্ডোতে আইএসএল শুরু হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। বরং, সুপার কাপ দিয়ে মরসুম শুরু করার কথা বলা হয়েছে, যা খেলোয়াড়দের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
নিয়মিত খেলা এবং নিয়মিত আয়ের ওপর নির্ভরশীল খেলোয়াড়দের জন্য এই অনিশ্চয়তা এক বড় ধাক্কা। ইতোমধ্যে অনেক ক্লাবই প্রস্তুতি বন্ধ করে দিয়েছে এবং খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফদের বেতন দেওয়াও বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানা গেছে। এই পরিস্থিতিতে অনেক খেলোয়াড়ই তাদের পরিবার এবং পেশাগত ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
ফেডারেশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহ থেকে সুপার কাপ শুরু হতে পারে, কিন্তু আইএসএলের ভাগ্য নিয়ে কোনো স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়নি। এর পেছনে রয়েছে একাধিক প্রশাসনিক এবং আইনি জটিলতা। স্পোর্টস বিল পাশ হওয়া থেকে শুরু করে ফেডারেশনের গঠনতন্ত্রের অনুমোদন—সবকিছুই এখনো ঝুলে আছে। এর ফলস্বরূপ, আইএসএল পিছিয়ে যাচ্ছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে ক্লাবগুলোর আর্থিক ব্যবস্থাপনার ওপর।
এই বিষয়ে এআইএফএফ সভাপতি কল্যাণ চৌবে বলেছেন, “ক্লাবগুলো তাদের খেলোয়াড়দের বেতন দেবে কিনা, সে বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারি না। এভাবেই বিশ্বের সর্বোচ্চ লিগগুলো চলে।” তবে এই মন্তব্য খেলোয়াড়দের দুশ্চিন্তা কমাতে পারেনি। একজন খেলোয়াড় নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “যখন খেলা নেই, তখন আয়ও নেই। অনেক খেলোয়াড়ের পরিবার আছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা কীভাবে চলব, তা ভেবে পাচ্ছি না।” ভারতীয় ফুটবলের এই অন্ধকারাচ্ছন্ন ছবিটি দ্রুতই কাটবে, এমন কোনো আশ্বাস এখনো মেলেনি।
Sources