দেশের ১.২ কোটিরও বেশি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীর দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে। সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অষ্টম বেতন কমিশন (8th Pay Commission) গঠনের অনুমোদন দিয়েছে। যদিও এর আনুষ্ঠানিক বাস্তবায়নের তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি, ধারণা করা হচ্ছে ২০২৬ সাল নাগাদ এই নতুন পে কমিশন কার্যকর হতে পারে।
কমিশন নিয়ে জল্পনা ও বাস্তবতা
কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি দশ বছর অন্তর বেতন কমিশন গঠন করে, যা মুদ্রাস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে বেতন ও ভাতাদি সংশোধনের সুপারিশ করে। সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর হয়েছিল ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি এবং এর মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর। সেই হিসেবে, নতুন বেতন কমিশন গঠন এখন সময়ের দাবি। ২০২৫ সালের ১৬ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা কমিশন অনুমোদনের পর থেকেই কর্মীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
বেতন ও ভাতাদি বৃদ্ধির সম্ভাবনা
বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, অষ্টম বেতন কমিশন কার্যকর হলে কর্মীদের বেতন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। ন্যূনতম বেতন বর্তমান ১৮,০০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০,০০০ টাকা হতে পারে বলে জল্পনা চলছে। এর পাশাপাশি, বেতন বৃদ্ধির হার ৩০% থেকে ৩৪% পর্যন্ত হতে পারে।
এছাড়াও, কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভাতাও বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যেমন, পেনশনভোগীদের জন্য স্থায়ী চিকিৎসা ভাতা (FMA) ১,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩,০০০ টাকা করার প্রস্তাব সম্প্রতি পাস হয়েছে। বাড়ি ভাড়া ভাতা, ভ্রমণ ভাতা এবং মহার্ঘ্য ভাতা (DA)-এর মতো অন্যান্য ভাতাও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে অসন্তোষ
যদিও কমিশন অনুমোদিত হয়েছে, এর কার্যপরিধি, অর্থাৎ টার্মস অফ রেফারেন্স (ToR) এবং সদস্যদের নিয়োগ নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। প্রায় ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এই বিষয়ে সরকারের নীরবতা কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ ও অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। আশা করা হচ্ছে, সরকার দ্রুত এই বিষয়ে একটি চূড়ান্ত ঘোষণা দেবে, যা কর্মীদের মধ্যে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা দূর করতে সাহায্য করবে।