মালদহের মানিকচক ব্লকে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর (ভিএলই) যদু মন্ডলের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। কর্মীদের দিয়ে ‘অমানবিকভাবে মাত্রাতিরিক্ত কাজ করানোর’ অভিযোগ উঠেছে সরাসরি ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের (বিডিও) বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে বিডিও অফিসের সামনে মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ দেখাল পরিবার ও সহকর্মীরা।
কীভাবে ঘটল এই মর্মান্তিক ঘটনা?
মৃত কর্মীর নাম যদু মন্ডল (৩৬), বাড়ি মানিকচকের ভুতনির হীরানন্দপুরে। তিনি ভুতনির দক্ষিণ চন্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভিএলই পদে কর্মরত ছিলেন।
সহকর্মী ও পরিবারের অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরেই মালদহের মানিকচক ব্লকের বিডিও কর্মীদের দিনরাত কাজ করতে বাধ্য করছিলেন। এসআইআর (SIR) সংক্রান্ত কাজের জন্য বিডিও-র চাপে পড়ে কর্মীদের একটানা ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করতে হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, রাত জেগে কাজ করতে রাজি না হলে নাকি বেতন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল।
এই অমানবিক কাজের চাপের কারণেই গত দু’দিন আগে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন যদু মন্ডল। তাঁকে দ্রুত মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
বিডিও অফিসের সামনে তীব্র বিক্ষোভ:
কর্মীর মৃত্যুর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মানিকচক ব্লকের স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মীরা। মৃত যদু মন্ডলের পরিবার পরিজন তাঁর মরদেহ নিয়ে সরাসরি ব্লক অফিস চত্বরে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। আন্দোলন ও ধর্নায় সামিল হন তাঁর সহকর্মীরাও।
তাঁদের দাবি, অসুস্থ অবস্থাতেও যদু মণ্ডলকে কাজে আসতে বাধ্য করা হয়েছিল। তাঁরা অবিলম্বে ঘটনার জন্য দায়ী বিডিও-র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। পাশাপাশি, মৃত কর্মীর পরিবারকে সরকারি সাহায্য দেওয়ার দাবিও তোলা হয়। এইভাবে মাত্রাতিরিক্ত কাজ করানো নিয়ে কর্মীদের মধ্যে তৈরি হওয়া অসন্তোষ এখন বড় আন্দোলনে রূপ নিয়েছে।
ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনও। যদিও এই বিষয়ে ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের (বিডিও) কোনো প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত মেলেনি।