অপারেশন সিঁদুর, ২৩ মিনিটে চুরমার মাসুদের সাম্রাজ্য! পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের বদলা নিল ভারত

২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল। দক্ষিণ কাশ্মীরের শান্ত পহেলগাঁওয়ের বৈসরণ উপত্যকা হঠাৎই পর্যটকদের রক্তে লাল হয়ে ওঠে। জঙ্গলের আড়াল থেকে বেরিয়ে আসা অত্যাধুনিক মারণাস্ত্রধারী জঙ্গিরা ঠান্ডা মাথায় ২৬ জন পর্যটককে হত্যা করে। কিন্তু ভারত যে এই আঘাত সহ্য করবে না, তা ছিল অবধারিত। সেই হত্যাকাণ্ডের মাত্র ১৫ দিনের মাথায়, ৬ মে রাতে শুরু হয় ভারতের পালটা অভিযান— ‘অপারেশন সিঁদুর’

মাত্র ২৩ মিনিটের এক বিধ্বংসী অভিযানে পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান কার্যালয় এবং মুরিদকে-তে লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ৯টি জঙ্গি লঞ্চপ্যাড। মাস্টারমাইন্ড মাসুদ আজাহারের পরিবারের ১০ সদস্য সহ বহু জঙ্গির মৃত্যু হয় এই অতর্কিত হামলায়। পাকিস্তান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পালটা আঘাত হানার চেষ্টা করলেও ভারতের মাটি স্পর্শ করতে পারেনি। ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি এআই-নির্ভর ‘আকাশতীর’ এডিসিআরএস এবং রাশিয়ার এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের প্রাচীরে ধাক্কা খেয়ে ধ্বংস হয় একের পর এক পাক ড্রোন ও ইউএভি।

এই অপারেশন শুধু সামরিক শক্তির পরিচয় দেয়নি, দিয়েছে কূটনৈতিক সাফল্যের বার্তাও। শশী থারুরের মতো প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদকে বিদেশের মাটিতে ভারতের সওয়াল করার জন্য বেছে নিয়ে কেন্দ্র জাতীয় ঐক্যের ডাক দেয়। যদিও সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি— “ব্যবসার টোপ দিয়ে ভারত-পাক যুদ্ধ থামিয়েছে আমেরিকা”— এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। রাহুল গান্ধী সহ বিরোধী শিবির মোদী সরকারের বিদেশ নীতির সমালোচনা করলেও, অভিযানের প্রশ্নে গোটা দেশ ছিল সেনার পাশে।

কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কম্যান্ডার ব্যোমিকা সিং-এর বীরত্ব এবং বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রীর যুক্তি ইসলামাবাদকে বিশ্বমঞ্চে কোণঠাসা করে দেয়। অপারেশন সিঁদুর প্রমাণ করেছে, ১৪০ কোটির এই ভারত সন্ত্রাসবাদীদের এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বে না। আঘাত এলে প্রত্যাঘাত হবে বহুগুণ শক্তিশালী।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy