বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং পুশব্যাক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মাঠে নামলেন রাজ্যের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সোমবার তিনি উত্তর ২৪ পরগণার হাকিমপুর সীমান্ত পরিদর্শন করেন এবং সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে জমা দেবেন বলে জানান।
বিএসএফের সঙ্গে বৈঠক ও নজরদারি পরিদর্শন
-
পরিদর্শন: রাজ্যপাল হাকিমপুর চেকপোস্টে নেমে স্থানীয় ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতারের অংশে বিএসএফের তৎপরতা ও নজরদারি ব্যবস্থা সরেজমিনে ঘুরে দেখেন।
-
তথ্য সংগ্রহ: তিনি হাকিমপুর সীমান্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএসএফের ব্যাটেলিয়নের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, কতজন বাংলাদেশিকে ওপারে ফেরত পাঠানো হয়েছে, আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে পুলিশের সাহায্য, বাংলাদেশিরা কীভাবে হোল্ডিং এরিয়ার কাছে ভিড় করছে এবং তাদের বসবাসের ধরন—এই ধরনের একাধিক বিষয়ে রাজ্যপাল বিএসএফ আধিকারিকদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন।
রাজ্যপালের বার্তা: অনুপ্রবেশকারীদের ঠাঁই নেই
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল স্পষ্ট বার্তা দেন:
“আমি বিভিন্ন সীমান্ত পরিদর্শন করব। এদিনও হাকিমপুরে এসে সীমান্ত ঘুরে দেখেছি। ভারতে কোনো অনুপ্রবেশকারীর ঠাঁই নেই। ভারত সরকার কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে। বিএসএফ যথেষ্ট সক্রিয় রয়েছে।”
বিএসএফ বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ নিয়েও তিনি মন্তব্য করেন, “এই বিষয়টি সম্পূর্ণ ভারত সরকারের বিষয়। তাই এই ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত থাকা উচিত।” তিনি আরও জানান, শুধু হাকিমপুর নয়, মুর্শিদাবাদ-সহ আরও কয়েকটি সীমান্ত পরিদর্শন করার পর তিনি রিপোর্টটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে জমা দেবেন।
নাম না করে তৃণমূল সাংসদকে জবাব
রাজ্যপাল এদিন সাংবাদিক বৈঠকে নাম না করে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জবাব দেন। এসআইআর (ভোটার তালিকা পরিমার্জন) নিয়ে মানুষকে ভুল পথে চালিত করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি রাজভবনে তল্লাশি-কাণ্ডের কথা উদ্ধৃত করেন:
“এসআইআর নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। ভুল পথে চালিত করা হচ্ছে। যেমন একজন সাংসদ রাজভবন নিয়ে ভুল এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছিল। তারপরও পুলিশ এবং অন্যান্য সংস্থা এসে দেখে গিয়েছে রাজভবনে কিছুই নেই।”