পর্যটন কেন্দ্র দিঘার হোটেলগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অনিয়ম এবং অব্যবস্থা নিয়ে এবার নড়েচড়ে বসেছে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। পর্ষদের এক্সিকিউটিভ অফিসার নীলাঞ্জন মণ্ডলের কড়া হুঁশিয়ারি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, শুধুমাত্র জরিমানায় আটকে না থেকে এবার হোটেল বন্ধ করে দেওয়ার মতো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই পদক্ষেপের নেপথ্যে রয়েছে মূলত দুটি কারণ: রাজস্ব ফাঁকি এবং পরিবেশ দূষণ।
প্রথমত, রাজস্ব ফাঁকি। বহু হোটেল কর্তৃপক্ষ ট্যুরিস্ট সার্ভিস ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার জন্য পর্যটকদের সঠিক তথ্য রেজিস্টার খাতায় নথিভুক্ত করছে না। এর ফলে সরকারের প্রাপ্য রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। একই সঙ্গে পুলিশের পোর্টালেও তথ্য আপলোড না করায় নিরাপত্তা ব্যবস্থাতেও ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।
দ্বিতীয়ত, পরিবেশ দূষণ। দিঘাকে পরিচ্ছন্ন ও সবুজ করে তোলার জন্য সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প চালু করা হলেও, অনেক হোটেল কর্তৃপক্ষ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নিয়ম মানছে না। কঠিন ও তরল বর্জ্য একসঙ্গে ফেলা হচ্ছে। এছাড়াও, নোংরা জল সরাসরি ড্রেনে ফেলে পরিবেশ দূষণ ও দুর্গন্ধ সৃষ্টি করা হচ্ছে।
নীলাঞ্জন মণ্ডল বলেন, একাধিক বৈঠক এবং সতর্ক করার পরও হোটেলগুলোর উদাসীন মনোভাবের কারণে প্রশাসন এখন বাধ্য হয়ে কঠোর হয়েছে। ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় এখন থেকে অন-দ্য-স্পট ফাইন করা হবে, যা ৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো, ভুল করে ফাইন দিয়ে পার পেয়ে যাওয়ার প্রবণতা বন্ধ করা।
দিঘার পর্যটন শিল্পের জন্য এই কঠোরতা অপরিহার্য। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখা একটি সুস্থ পর্যটন শিল্পের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।