রেস্তোরাঁর বিল ফাঁকি দিতে গিয়ে ধরা পড়ল আট থেকে দশ জন যুবকের একটি দল। গত ৩১শে জুলাই রাতে কানপুরের শাস্ত্রী চকের বিখ্যাত ‘বিরিয়ানি বে’ রেস্তোরাঁয় এই ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগ, তারা ভেজ বিরিয়ানিতে কৃত্রিমভাবে মাংসের হাড় ফেলে দিয়ে বিল না দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু রেস্তোরাঁর সিসিটিভি ফুটেজে তাদের এই অতি চালাকি ধরা পড়ে যায়।
রেস্তোরাঁর মালিক রবিকার সিং জানান, প্রায় আট-দশ জনের একদল যুবক বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর রেস্তোরাঁয় খেতে আসে। তারা ভেজ এবং নন-ভেজ বিরিয়ানি অর্ডার করে। কিছুক্ষণ খাওয়ার পরই দলের একজন হঠাৎ চিৎকার করে অভিযোগ করে যে, তার ভেজ বিরিয়ানিতে মাংসের হাড় পাওয়া গেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রেস্তোরাঁয় ব্যাপক বাকবিতণ্ডা শুরু হয় এবং পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ দ্রুত পুলিশকে খবর দিলে ক্যান্টনমেন্ট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ আসার পর দুই পক্ষের উপস্থিতিতে তৎক্ষণাৎ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। ফুটেজে দেখা যায়, এক যুবক চুপিচুপি অন্য এক যুবকের হাত থেকে মাংসের হাড় নিয়ে তার ভেজ বিরিয়ানির প্লেটে রেখে দিচ্ছে।
রেস্তোরাঁ মালিক রবিকার সিং বলেন, “আমাদের রান্নাঘরে আমিষ এবং নিরামিষ খাবার সম্পূর্ণ আলাদাভাবে তৈরি হয়। একসঙ্গে মিশে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ছিল ওই যুবকদের।” তিনি দাবি করেন, প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকার বিল ফাঁকি দেওয়ার জন্যই তারা এই পরিকল্পনা করেছিল।
যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি, ক্যান্টনমেন্ট সার্কেল অফিসার যোগেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, “আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।” এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর কানপুর জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নেটিজেনরা সামাজিক মাধ্যমে এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করছেন এবং সিসিটিভি ফুটেজের কারণে রেস্তোরাঁর মালিকের সততা প্রমাণিত হওয়ায় তারা পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন।