বাংলাদেশে হিন্দু যুবক দীপু চন্দ্র দাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ড এবং সে দেশের সংখ্যালঘুদের বর্তমান শোচনীয় অবস্থা নিয়ে এবার সরাসরি মুখ খুলল ভারত। শনিবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনকাল নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করেছেন। তাঁর দাবি, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হত্যা, অগ্নিসংযোগ এবং জমি দখলের মতো ২,৯০০টিরও বেশি হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে।
রণধীর জয়সওয়াল স্পষ্ট জানান, দীপু দাসের মতো সাধারণ মানুষের ওপর যেভাবে আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ভারত সরকার এই প্রতিটি ঘটনার দিকে কড়া নজর রাখছে। তাঁর কথায়, “সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়া যেকোনো সরকারের প্রাথমিক দায়িত্ব। কিন্তু বাংলাদেশে গত কয়েক মাসে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ওপর ক্রমাগত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক স্তরেও নিন্দনীয়।”
ভারতের এই কড়া বার্তার পর ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। কূটনৈতিক মহলের মতে, ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দিল্লির পক্ষ থেকে এটিই এ যাবৎকালের সবথেকে জোরালো চাপ। ভারত দাবি করেছে যে, প্রতিটি অপরাধের নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। দিল্লির এই বার্তার পর ঢাকা কী প্রতিক্রিয়া দেয়, এখন সেদিকেই তাকিয়ে আন্তর্জাতিক মহল।