ভারতীয় সেনাবাহিনীতে জওয়ানের বিপুল ঘাটতি দ্রুত পূরণ করতে এবার অগ্নিবীর নিয়োগে বড়সড় বৃদ্ধি করতে চলেছে কেন্দ্র। আগামী নিয়োগ চক্র থেকেই প্রতি বছর প্রায় ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) নতুন অগ্নিবীর নিয়োগের প্রস্তুতি চলছে। সেনাবাহিনীর জনবল ঘাটতি মেটাতে এটি একটি মেগা রিক্রুটমেন্ট ড্রাইভ হতে চলেছে।
কেন এই বিপুল বৃদ্ধি?
বর্তমানে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে প্রায় ১,৮০,০০০ সৈন্যের ঘাটতি রয়েছে। এই বিশাল শূন্যপদের প্রধান কারণ হলো:
-
কোভিড প্রভাব: ২০২০ এবং ২০২১ সালে কোভিডের কারণে দু’বছর নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল।
-
ঘাটতি বৃদ্ধি: এই সময়ে প্রতি বছর ৬০,০০০-৬৫,০০০ সেনা অবসর নিয়েছেন, কিন্তু নতুন যোগদান না হওয়ায় প্রতি বছর অতিরিক্ত ২০,০০০-২৫,০০০ করে ঘাটতি জমতে থাকে।
-
অগ্নিপথ প্রকল্পের গতি: ২০২২ সাল থেকে ২০২৫ সালের শেষ পর্যন্ত মোট ১,৭৫,০০০ অগ্নিবীর নিয়োগ করা হলেও, তা সেনাবাহিনীর বিপুল শূন্যপদ পূরণের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
এই পরিস্থিতিতে বাহিনীর সংখ্যা ধরে রাখতে এবং জনবল ঘাটতি দ্রুত পূরণ করতে বাড়তি নিয়োগ অপরিহার্য বলে মনে করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
পরিকল্পনা ও সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি
নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী নিয়োগ চক্র থেকেই প্রতি বছর ১ লক্ষ অগ্নিবীর নেওয়া হবে। এর পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো:
-
প্রথম ব্যাচের অবসর: ২০২৬ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে প্রথম ব্যাচের অগ্নিবীরদের (যারা চার বছরের মেয়াদে নিয়োগ পেয়েছেন) অবসর শুরু হবে। সেই শূন্যস্থান পূরণ এবং সামগ্রিক শক্তি বজায় রাখতে বাড়তি নিয়োগের কোনো বিকল্প নেই।
এই বিপুল সংখ্যক নিয়োগের জন্য সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলির সক্ষমতাও বাড়ানো হচ্ছে, যাতে একসাথে আরও বেশি সংখ্যক প্রার্থীকে মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হয়।
একজন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর প্রয়োজন অনুসারে যতজন দরকার, ততজন অগ্নিবীরই নেওয়া হবে, তবে প্রশিক্ষণের মান কোনোভাবেই কমানো হবে না।
তরুণদের জন্য সেরা সুযোগ
সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন দেখেন যারা এবং অগ্নিবীর হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাদের জন্য এটি নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বড় খবর। আগামী বছর থেকেই বিশাল সংখ্যায় নিয়োগের সুযোগ খুলে যাচ্ছে, যা ভারতীয় তরুণদের জন্য একটি স্বর্ণালী সময় নিয়ে আসতে চলেছে।
