২০২০ সালের দিল্লি দাঙ্গা মামলায় অভিযুক্ত, জেএনইউ-এর প্রাক্তন ছাত্র শরজিল ইমাম মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর, ২০২৫) দিল্লির কড়কড়ডুমা আদালত থেকে তাঁর অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করে নিলেন। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়ার জন্য তিনি এই আবেদন করেছিলেন।
বদলিরহাটের ঘটনায় উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়ার অভিযোগে দেশদ্রোহ, রাষ্ট্রদ্রোহ এবং ফৌজদারি ষড়যন্ত্রের মতো একাধিক গুরুতর ধারায় অভিযুক্ত শরজিল ইমাম। দীর্ঘদিন ধরে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকা এই প্রাক্তন ছাত্র বিহারের বাহাদুরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়ার জন্য ১৪ দিনের অন্তর্বর্তী জামিন চেয়েছিলেন।
কেন হঠাৎ প্রত্যাহার?
আদালতে শুনানির সময় শরজিল ইমামের আইনজীবী আবেদনটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন। আইনজীবীর যুক্তি ছিল, শরজিল ইমামের নিয়মিত জামিনের মামলাটি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। সেই কারণে অন্তর্বর্তী জামিনের জন্য ট্রায়াল কোর্ট নয়, বরং সুপ্রিম কোর্টই উপযুক্ত মঞ্চ। এই আইনি যুক্তির ভিত্তিতেই কড়কড়ডুমা আদালতে দাখিল করা আবেদনটি প্রত্যাহারের অনুমতি চাওয়া হয়।
রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে
২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে বিহারের জেহানাবাদ থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে শরজিল ইমাম এখনও পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বাহাদুরগঞ্জ আসন থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করার তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে আসতেই বিহারের রাজনীতিতে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন কিনা, সেই অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও তাঁর এই রাজনৈতিক পদক্ষেপ বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।
দিল্লি পুলিশের চার্জশিটে বলা হয়েছে, সিএএ (CAA) এবং এনআরসি (NRC)-এর প্রতিবাদ চলাকালীন শাহিন বাগ ও জামিয়া এলাকায় উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছিলেন শরজিল, যা পরবর্তীকালে দাঙ্গায় ইন্ধন যুগিয়েছিল। তবে জামিনের আবেদন প্রত্যাহারের পর আপাতত তাঁর রাজনৈতিক লড়াইয়ের পথ বন্ধ রইল।