গ্রামীণ ভারতের অর্থনৈতিক ভিত মজবুত করতে এবং দরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্প্রতি ‘বিকশিত ভারত গ্যারান্টি ফর রোজগার অ্যান্ড আজীবিকা মিশন (গ্রামীণ) আইন, ২০২৫’ বা সংক্ষেপে ‘ভিবি জি রাম জি’ (VB G RAM JI) আইনে সস্মতি দিয়েছেন। এই নতুন আইনের ফলে এখন থেকে গ্রামীণ এলাকায় ১০০ দিনের পরিবর্তে বছরে ন্যূনতম ১২৫ দিন কাজ পাওয়ার আইনি অধিকার নিশ্চিত হলো।
এই আইন নিয়ে বিরোধীদের পক্ষ থেকে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা চললেও বাস্তব চিত্রটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। সমালোচকরা দাবি করছেন যে কাজের অধিকার খর্ব করা হয়েছে, কিন্তু নতুন আইনের কাঠামো বলছে ঠিক উল্টো কথা। আগে যে সব ত্রুটির কারণে বেকার ভাতা বাতিল হতো, তা সংশোধন করা হয়েছে। অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে এবং কর্মীরা কাজের দাবি জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই কাজ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকছে। সবচেয়ে বড় কথা, পরিকল্পনা ও রূপায়ণের পূর্ণ ক্ষমতা আগের মতোই গ্রাম পঞ্চায়েত ও গ্রামসভার হাতেই ন্যস্ত থাকছে।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৩-১৪ সালে যেখানে এই খাতে বরাদ্দ ছিল মাত্র ৩৩,০০০ কোটি টাকা, ২০২৪-২৫ সালে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২,৮৬,০০০ কোটি টাকা। গত এক দশকে কর্মদিবস তৈরির সংখ্যাও দ্বিগুণ হয়েছে (১,৬৬০ কোটি থেকে ৩,২১০ কোটি)। মোদী সরকারের দাবি, এই নতুন আইন কেবল কাজের নিশ্চয়তা নয়, বরং স্থায়ী গ্রামীণ পরিকাঠামো নির্মাণ এবং কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ার পথে বড় মাইলফলক।