রবিবাসরীয় ছুটির আমেজে বড়সড় ধাক্কা। ফের যান্ত্রিক ত্রুটির কবলে কলকাতা মেট্রো। আজ, রবিবার ভরদুপুরে টলিগঞ্জ স্টেশনের কাছে একটি রেক আটকে যাওয়ায় ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হলেন হাজার হাজার নিত্যযাত্রী। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, অন্ধকার টানেল ও থার্ড লাইনের ওপর দিয়েই হেঁটে স্টেশনে ফিরতে দেখা যায় আতঙ্কিত যাত্রীদের।
ঠিক কী ঘটেছিল? সূত্রের খবর, কবি সুভাষ (নিউ গড়িয়া) গামী একটি রেক টলিগঞ্জ স্টেশন ছাড়ার কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ থমকে যায়। জানা গিয়েছে, যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেনের ‘ইমার্জেন্সি ব্রেক’ কার্যকর হয়ে যায়। লোকো পাইলট ব্রেক না কষলেও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এই বিপত্তি। সাধারণত ইমার্জেন্সি ব্রেক একবার পড়ে গেলে তা সচল করা অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ, আর সেই কারণেই দীর্ঘক্ষণ লাইনে আটকে থাকে ট্রেনটি।
পরিষেবার বর্তমান পরিস্থিতি: এই ঘটনার জেরে দক্ষিণ কলকাতার একটা বড় অংশে মেট্রো চলাচল স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। মেট্রো সূত্রের খবর:
বর্তমানে দক্ষিণেশ্বর থেকে ময়দান পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত রুটে ট্রেন চলছে।
ময়দান থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত আপ ও ডাউন— উভয় লাইনেই পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে।
টলিগঞ্জ স্টেশনে রেক ঘোরানোর ব্যবস্থা থাকলেও, যান্ত্রিকভাবে অচল ট্রেনটি সরানো না যাওয়ায় বিপত্তি আরও বেড়েছে।
আতঙ্কে যাত্রীরা, ক্ষোভ কর্তৃপক্ষের ওপর: টানেলের ভেতর ট্রেন আটকে পড়ায় অন্ধকার ও গরমে হাঁসফাঁস করতে থাকেন যাত্রীরা। দীর্ঘক্ষণ কোনো ঘোষণা না হওয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন সাধারণ মানুষ। শেষমেশ প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের দরজা খুলে লাইনের ওপর দিয়েই হাঁটতে শুরু করেন শিশু ও বয়স্ক সহ অনেক যাত্রী।
কবে স্বাভাবিক হবে মেট্রো? ঘটনাস্থলে জরুরি ভিত্তিতে পৌঁছেছেন ইঞ্জিনিয়াররা। তবে ঠিক কতক্ষণে ট্রেনটিকে সরিয়ে লাইন পরিষ্কার করা সম্ভব হবে, সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি মেট্রো কর্তৃপক্ষ। শীতের দুপুরে গন্তব্যে পৌঁছাতে না পেরে টালিগঞ্জ ও ময়দান স্টেশনে ভিড় উপচে পড়ছে।