পুরুলিয়া জেলার কাশীপুরের প্রত্যন্ত গ্রাম পাহাড়পুরে স্থাপিত একটি স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্র (Automated Weather Station) এখন গ্রামের কয়েকশো কৃষিজীবী মানুষের কাছে নির্ভরযোগ্য ভরসাস্থল হয়ে উঠেছে। আজিম প্রেমজির DRCSC (Development Research Communication and Service Centre)-র উদ্যোগে ২০২২ সালে বসানো এই আধুনিক যন্ত্রটি গ্রামের কৃষিকাজের গতিপথ বদলে দিয়েছে।
কীভাবে কাজ করছে এই কেন্দ্র:
স্বয়ংক্রিয় এই যন্ত্রটি প্রতিদিন এলাকার আবহাওয়ার সঠিক তথ্য সংগ্রহ করছে। গ্রামের স্বনির্ভর দলের এক মহিলা সদস্য প্রতিমা টুডু সেই তথ্যগুলিকে সুন্দরভাবে যন্ত্রের পাশের একটি দেওয়ালে লিখে রাখছেন। দেওয়ালে শুধুমাত্র তাপমাত্রা বা বৃষ্টির পূর্বাভাসই নয়, আগামী পাঁচ দিনের বিস্তারিত পূর্বাভাস ও কৃষি পরামর্শও লিখে দেওয়া হচ্ছে।
সুবিধা পাচ্ছেন কৃষকরা:
সঠিক পূর্বাভাস: গ্রামের কৃষকরা সহজেই বুঝতে পারছেন কখন বৃষ্টি হবে, কখন রোদ থাকবে বা কোন সময়ে ফসলের যত্ন নেওয়া জরুরি।
প্রাকৃতিক সতর্কতা: প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বদলের আগেই তারা প্রয়োজনীয় সতর্কতা নিতে পারছেন।
বিজ্ঞানসম্মত চাষ: এই তথ্য উন্নত এবং বিজ্ঞানসম্মত চাষের পথে একটি বড় সহায়ক হয়ে উঠেছে।
কেন এই পরিষেবা গুরুত্বপূর্ণ:
পাহাড়পুরের মতো প্রত্যন্ত গ্রামে অধিকাংশ মানুষেরই যেহেতু অ্যান্ড্রয়েড ফোন বা ইন্টারনেট সুবিধা নেই, তাই স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্রটিই তাদের জন্য একমাত্র নির্ভরযোগ্য মাধ্যম।
স্বনির্ভর দলের মহিলা প্রতিমা টুডু জানান, “বিগত ২০২২ সাল থেকে পাহাড়পুর গ্রামে এই স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্রটি কার্যক্রম শুরু করেছে। আগাম আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়ায় গ্রামবাসীরা অনেকটাই উপকৃত হচ্ছেন।” এই ছোট্ট কেন্দ্রটিকে ঘিরেই আজ পাহাড়পুরের কৃষিকাজ আবহাওয়া সচেতনতার নতুন ছন্দে বদলে যাচ্ছে।