সুপারিশ জমা দিতে লাগবে ১২-১৮ মাস! কী কারণে সপ্তম বেতন কমিশন প্রত্যাখ্যান করেছিল কর্মীদের দ্রুত বেতন সংশোধনের দাবি?

কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের বেতন কাঠামো সংশোধনের জন্য অষ্টম কেন্দ্রীয় বেতন কমিশন (CPC) কাজ শুরু করেছে। যদিও সুপারিশ জমা দিতে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগতে পারে, তবুও কর্মচারী ও পেনশনভোগীরা চাইছেন এই সুপারিশগুলি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক।

দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি কেন?

কর্মচারী ও পেনশনভোগীরা যৌথ পরামর্শদাতা জেসিএম-কর্মী পক্ষ (JCM-Staff Side) এবং পেনশনভোগী সমিতির মাধ্যমে সরকারের কাছে এই অনুরোধ করছেন। তবে, এই অনুরোধ রাখা হবে কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।

অতীতে প্রত্যাখ্যান: সপ্তম বেতন কমিশনকেও সংশোধিত বেতন কাঠামো দ্রুত বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়েছিল। একাধিক JCM-স্টাফ সাইড অ্যাসোসিয়েশন ১ জানুয়ারি, ২০১৪ থেকে সুপারিশগুলি কার্যকর করার দাবি জানিয়েছিল। তাঁদের যুক্তি ছিল, ডিএ-কে মূল বেতনের সঙ্গে একীভূত না করায় বেতনের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।

সপ্তম CPC-র অবস্থান: সপ্তম CPC সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল যে, যদিও কমিশন দ্রুত বাস্তবায়নের দাবির সঙ্গে একমত নয়, তবুও তাদের সুপারিশগুলি ১ জানুয়ারি, ২০১৬ তারিখে বিবেচনা করা উচিত।

কেন্দ্রীয় কর্মীদের মূল দাবি:

ইউনিয়নগুলি বর্তমানে বিদ্যমান মহার্ঘ্য ভাতা (DA) এবং মহার্ঘ্য ত্রাণ (DR)-কে মূল বেতনের সঙ্গে একীভূত করার দাবি জানাচ্ছে। তাদের মতে, বর্তমান মহার্ঘ্য ভাতার হার প্রকৃত খুচরা মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব কমাতে অপর্যাপ্ত প্রমাণিত হচ্ছে।

অষ্টম CPC নিয়ে অসন্তোষ:

বেশ কয়েকটি কর্মচারী ইউনিয়ন এবং পেনশনভোগী গোষ্ঠী এই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে যে অষ্টম বেতন কমিশনের শর্তাবলীতে পেনশন সংস্কারের স্পষ্ট উল্লেখ নেই এবং কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য কোনও তারিখও নির্ধারণ করা হয়নি।

সাধারণত, কেন্দ্রীয় সরকার তার কর্মীদের বেতন সংশোধন করার জন্য প্রতি ১০ বছর অন্তর একটি বেতন কমিশন গঠন করে (সপ্তম CPC গঠিত হয়েছিল ২০১৪ সালে এবং কার্যকর হয় ২০১৬ সালে; এর মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হবে)। এই প্রেক্ষাপটে, অষ্টম বেতন কমিশনের সুপারিশগুলি দ্রুত নয়, বরং সময়সূচী অনুসারে বাস্তবায়িত হবে বলেই আশা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হবে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy