সাইবার ক্রাইমে ₹৪,১৪৩ কোটি ক্ষতি! ক্রিপ্টো জালিয়াতদের ধরতে অত্যাধুনিক ট্র্যাকিং টুল কিনছে কর্ণাটকের CID,

দ্রুত বর্ধনশীল প্রযুক্তির কেন্দ্র বেঙ্গালুরুতে সাইবার অপরাধ বৃদ্ধির মুখে কর্ণাটকের ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (CID) এবার ক্রিপ্টোকারেন্সি-সম্পর্কিত অপরাধ মোকাবিলার জন্য তাদের ক্ষমতা বাড়াতে চলেছে। CID অবৈধ তহবিল ট্র্যাক করতে, অপরাধী নেটওয়ার্কগুলিকে চিহ্নিত করতে এবং ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহার করে পরিচালিত ক্রাইমগুলিকে ব্যাহত করার জন্য একটি উন্নত তদন্ত সরঞ্জাম সংগ্রহ করার উদ্যোগ নিয়েছে।

কেন এই জরুরি পদক্ষেপ?

এই উদ্যোগটি এমন এক সময়ে নেওয়া হচ্ছে যখন বেঙ্গালুরুতে সাইবার অপরাধ ক্রমশ বাড়ছে। একটি সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুসারে, ২০২৩ সাল থেকে অক্টোবর ৩১, ২০২৫ পর্যন্ত বেঙ্গালুরুতে ৪৪,১৭৭টি সাইবার অপরাধের মামলা নথিভুক্ত হয়েছে, যার ফলে নাগরিকদের আনুমানিক ₹৪,১৪৩ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

বিশেষত, সাইবার অপরাধীরা ক্রমবর্ধমানভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে অর্থ পাচার (Money Laundering) করছে, যা তদন্তকারী সংস্থাগুলির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। এই ধরনের অপরাধীদের উন্নত কৌশল মোকাবেলা করতে, CID-এর এখন বিশেষায়িত ফরেনসিক সরঞ্জামের প্রয়োজন।

নতুন সরঞ্জামের ক্ষমতা কী হবে?

CID যে অত্যাধুনিক তদন্ত সরঞ্জামটি কিনছে, তা ব্লকচেইন অ্যানালাইসিস (Blockchain Analysis) প্ল্যাটফর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এই সরঞ্জামগুলি CID-কে নিম্নলিখিত বিষয়ে সাহায্য করবে:

  • তহবিল ট্র্যাকিং: ব্লকচেইন জুড়ে ক্রিপ্টোকারেন্সির গতিবিধি সঠিকভাবে অনুসরণ করা।

  • পরিচয় প্রতিষ্ঠা: ছদ্মনামী ক্রিপ্টো লেনদেনগুলিকে আসল ব্যক্তি বা অপরাধী নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত করা।

  • অপরাধ নেটওয়ার্কের মানচিত্র: অর্থ পাচার এবং অন্যান্য অবৈধ কার্যক্রমের জটিল পথগুলি দৃশ্যের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের টুল CID-কে বিটকয়েন কেলেঙ্কারি (Bitcoin scam) এবং অন্যান্য হাই-প্রোফাইল ক্রিপ্টো মামলার তদন্তে বড় সাহায্য করবে, যা আগে ট্র্যাডিশনাল টুলের মাধ্যমে সম্ভব ছিল না।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy