কাশ্মীর সহ উত্তর ভারতে সরকারিভাবে শীতের প্রবেশ ঘটে গেলেও, রাজধানী শহর দিল্লি ও সংলগ্ন এনসিআর এলাকা মরশুমের শুরুতেই প্রতি বছরের মতো বায়ুদূষণের কবলে পড়েছে। দেওয়ালিতে পরিবেশ বান্ধব বাজি পোড়ানো নিয়ে যখন সুপ্রিম কোর্টে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে, ঠিক তখনই মঙ্গলবার বায়ুদূষণের সূচক হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
বেশ কিছুদিন ধরে বর্ষাকালীন দূষণের মাত্রা নীচের দিকে থাকার স্বস্তি কাটিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে দিল্লি ও লাগোয়া এনসিআর এলাকায় দূষণ ‘মন্দ’ (Poor) স্তরে নেমে এসেছে।
আনন্দ বিহারে ‘অতি মন্দ’ দূষণ
এদিন সকালে দিল্লির বাতাসে সার্বিক দূষণের সূচক (AQI) ছিল ২০১, যা ১১ জুনের পর মরশুমের প্রথম ‘খারাপ’ সূচক স্পর্শ করল। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের (CPCB) তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সূচক ছিল মাঝারি মানের (১৬৯)। সেটাই বেড়ে মঙ্গলবার ২০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে।
তবে এর মধ্যে আনন্দ বিহারের পরিস্থিতি আরও একধাপ নেমে ‘অতি মন্দ’ (Very Poor) স্তরে পৌঁছেছে। দেওয়ালির এক সপ্তাহ আগেই দিল্লির বায়ুদূষণের মাত্রা নামতে থাকায় শীত জাঁকিয়ে চেপে বসলে পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে, তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আগামী এক সপ্তাহ পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার পূর্বাভাস
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দিল্লির বাতাসের মান ১৪ অক্টোবর থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত খারাপ স্তরেই থাকবে। আগামী অন্তত সপ্তাহখানেক বাতাসে দূষণের মাত্রা ‘খারাপ’ থেকে ‘অতি খারাপ’ স্তরে থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
দূষণ বিশেষজ্ঞদের মতে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু কেটে যাওয়াতেই দিল্লিতে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। এদিন ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদই দূষণের সূচক ২০০-র বেশি ছিল।