সীমান্তে চিন ও পাকিস্তানের দ্বিমুখী চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে এবার টি-৯০ ‘ভীষ্ম’ ট্যাঙ্ক বহরকে আমূল বদলে ফেলার মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এই প্রকল্পের অধীনে ১,০০০টি ট্যাঙ্ককে অত্যাধুনিক সেন্সর, শক্তিশালী ইঞ্জিন এবং বিশেষ সুরক্ষা কবচ দিয়ে সজ্জিত করা হবে।
কেন এই আধুনিকীকরণ? পুরানো টি-৯০ ট্যাঙ্কগুলির ইলেকট্রনিক সিস্টেম এখন অনেকটাই সেকেলে। বর্তমান যুদ্ধক্ষেত্রে ছোট ড্রোন বা কামিকাজে ড্রোন ট্যাঙ্কের জন্য বড় বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ভারী সরঞ্জামের কারণে ট্যাঙ্কের গতি ধরে রাখতে প্রয়োজন আরও শক্তিশালী ইঞ্জিন। এই সমস্যাগুলি মেটাতেই কয়েক হাজার কোটি টাকার এই প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হয়েছে।
কী কী নতুন সুবিধা যুক্ত হচ্ছে?
-
অ্যাক্টিভ প্রোটেকশন সিস্টেম (APS): এটি ট্যাঙ্কের চারপাশে একটি অদৃশ্য দেওয়াল তৈরি করবে। রাডারের সাহায্যে শত্রুর মিসাইলকে আগেভাগেই চিনে নিয়ে মাঝ আকাশেই ধ্বংস করে দেবে এটি।
-
দেশীয় থার্মাল সাইট: রাতের অন্ধকার বা ঘন কুয়াশার মধ্যেও ৫ কিমি দূর থেকে শত্রুকে স্পষ্ট দেখতে পাবে এই ট্যাঙ্ক। আগে এর জন্য বিদেশের ওপর নির্ভর করতে হতো, এবার ব্যবহৃত হবে দেশি প্রযুক্তি।
-
শক্তিশালী ইঞ্জিন: পাহাড়ি এলাকায় বা দুর্গম পথে দ্রুত যাতায়াতের জন্য ইঞ্জিনের ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে।
-
ড্রোন সুরক্ষা: আধুনিক রাডার প্রযুক্তির মাধ্যমে ছোট ড্রোনের হামলাও প্রতিহত করা সম্ভব হবে।
স্বনির্ভর ভারত ও কর্মসংস্থান: প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ কাউন্সিল (DAC)-এর সবুজ সংকেত পেলেই কাজ শুরু হবে। এই প্রকল্পের সিংহভাগ কাজ হবে ভারতে, যা দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্পে নতুন গতি আনবে এবং প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। কয়েক দশক ধরে ভারতের আকাশ ও স্থলভাগের আধিপত্য বজায় রাখতেই এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।