জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) এবার দেশে ঘাপটি মেরে থাকা ‘মেধাজীবী-জঙ্গি’ গোষ্ঠীর সন্ধানে কাশ্মীরের আটটি জায়গায় সোমবার ভোর থেকে বিশাল তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। পুলওয়ামা, শোপিয়ান এবং কুলগাঁও জেলার আটটি ডেরায় চলছে এই অভিযান।
নয়াদিল্লির লালকেল্লা বিস্ফোরণের পর থেকেই কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির নজরে আসে এই শিক্ষিত ও মেধাজীবী শ্রেণির মধ্যে লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসবাদী তত্ত্ব। এরপর থেকেই হরিয়ানা, কাশ্মীর ও দেশের সর্বত্র এই মুখোশধারী জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
মূল কারিগরকে খুঁজছে NIA:
এনআইএ-র দল শোপিয়ানে মৌলবি ইরফান আহমেদ ওয়াগের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ওয়াগেই হলো মেধাজীবী সন্ত্রাসবাদী তৈরির মূল কারিগর। তদন্তকারীদের সন্দেহ, ওয়াগ মগজধোলাইয়ের মাধ্যমে শিক্ষিত মুসলিমদের কট্টরপন্থী আদর্শে উদ্বুদ্ধ করে এবং এ ধরনের জঙ্গি গোষ্ঠীতে দেশীয় মুসলিমদের নিয়োগ কর্তা হিসেবে কাজ করে।
গত মাসে ওয়াগকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল এবং গত মাসে তাকে এনআইএ নিজেদের হেফাজতে নেয়। পুলওয়ামা জেলার কয়েল, চান্দগাঁও, মালঙ্গপুরা ও সাম্বুরা এলাকাতেও তল্লাশি চালাচ্ছে এনআইএ টিম। এই এলাকার কয়েকজনের দিল্লির গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় সরাসরি যোগ থাকার সন্দেহ রয়েছে। এছাড়াও, তদন্তকারী সংস্থা ডঃ আহমেদ রাঠেরের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিল। রাঠেরকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।