আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি সম্প্রতি ভারত সফরে এসে উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরের বিখ্যাত দারুল উলুম দেওবন্দ পরিদর্শন করেন। তাঁকে জাঁকজমকপূর্ণ সংবর্ধনা দেওয়ার ঘটনায় তীব্র হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রবীণ চিত্রনাট্যকার ও গীতিকার জাভেদ আখতার। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন।
‘লজ্জায় মাথা হেঁট’:
জাভেদ আখতার তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে (টুইটার) একটি হৃদয়গ্রাহী পোস্ট করে জানান, বিশ্বের সবচেয়ে জঘন্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তালিবানের প্রতিনিধিকে এত সম্মান দেখানো দেখে তাঁর মাথা লজ্জায় হেঁট হয়ে গিয়েছে।
তিনি লেখেন, “বিশ্বের সবচেয়ে নোংরা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তালিবানের প্রতিনিধিকে যে ধরণের সম্মান ও সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে, তা দেখে আমার মাথা লজ্জায় নিচু হয়ে যায়। দেওবন্দেরও লজ্জা হওয়া উচিত তাদের ‘ইসলামিক হিরো’ কে এত শ্রদ্ধাভরে স্বাগত জানানোর জন্য, যারা মেয়েদের শিক্ষা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করেছিল ইনি তাদের মধ্যে একজন। আমার ভারতীয় ভাই ও বোনেরা! আমাদের সঙ্গে কী হচ্ছে!”
দেওবন্দে উষ্ণ অভ্যর্থনা:
গত ১১ অক্টোবর, দারুল উলুম দেওবন্দের মোহতামিম (উপাচার্য) আবুল কাসিম নোমানী, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি মাওলানা আরশাদ মাদানী এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা ইসলামী মাদ্রাসায় মুত্তাকিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। ইসলামি মাদ্রাসা এবং বিভিন্ন এলাকার অসংখ্য ছাত্র দেওবন্দ ক্যাম্পাসে একত্রিত হয়েছিলেন। দেওবন্দ সফরের সময় মুত্তাকি ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে ভবিষ্যতে আরও ভালো সম্পর্কের আশা করেন।
নেটিজেনদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া:
জাভেদ আখতারের এই পোস্টের পর অনেক নেটিজেন তাঁকে সমর্থন জানিয়েছেন। তবে কেউ কেউ ভিন্ন মতও প্রকাশ করেন। এক নেটিজেন মন্তব্যে উল্লেখ করেন, বর্তমান মোদি সরকারও তালিবান প্রতিনিধিদের প্রোটোকল দিয়ে স্বাগত জানিয়েছে। আরেক নেটিজেনের বক্তব্য, ভূ-রাজনীতিতে এমন ঘটনা ঘটতেই পারে এবং এই সম্মান জানানোর অর্থ তাদের বিশ্বাসের সঙ্গে একমত হওয়া নয়, বরং তাদের উপর ভালো প্রভাব ফেলার একটি চেষ্টা।