বজবজ ট্রাঙ্ক রোডে সাম্প্রতিক এক ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় এক র্যাপিডো চালকের মৃত্যু এবং এক মহিলার গুরুতর জখম হওয়ার ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসনকে। উৎসবের মরশুমে যাতে আর কোনো প্রাণ অকালে ঝরে না যায়, তার জন্য কোমর বেঁধে পথে নামল মহেশতলা থানা এবং মহেশতলা ট্রাফিক গার্ড। বৃহস্পতিবার মহেশতলা বাটা মোড়ে এক বর্ণাঢ্য ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ কর্মসূচির মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হলো।
বর্ণাঢ্য পদযাত্রা ও পথনাটিকা: এদিন বাটা মোড় সংলগ্ন বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা হাতে সচেতনতামূলক ব্যানার ও পোস্টার নিয়ে এই অভিযানে শামিল হয়। পুলিশের ব্যান্ড সহযোগে পদযাত্রাটি মেহমানপুর, চন্দননগর এবং মহেশতলা কলেজ এলাকা প্রদক্ষিণ করে। পদযাত্রার শেষে বাটা মোড়ে এক আকর্ষণীয় পথনাটিকার আয়োজন করা হয়। নাটকের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয় ট্রাফিক আইন ভাঙার ভয়াবহ পরিণাম—মোবাইলে কথা বলতে বলতে রাস্তা পার হওয়া, হেলমেট ও সিট বেল্ট না পরা কিংবা সিগন্যাল অমান্য করার ফলে কীভাবে সাজানো সংসার তছনছ হয়ে যায়, তা দেখে ভিড় জমানো পথচারীরা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।
প্রশাসনের কড়া বার্তা: অনুষ্ঠানে উপস্থিত পড়ুয়াদের উৎসাহ দিতে পুলিশ আধিকারিকরা তাদের হাতে চকোলেট তুলে দেন। মহেশতলা থানার আইসি বলেন, “দুর্ঘটনা রুখতে কড়া আইনের চেয়েও মানুষের সচেতনতা বেশি জরুরি।” মহেশতলা এসডিপিও সৈয়দ রেজাউল কাবির জানান, রাজ্য সরকারের নির্দেশে সারা বছরই এই কর্মসূচি চলে, তবে উৎসবের মুখে এর গুরুত্ব আরও বাড়ানো হয়েছে।
উৎসবের মরশুমে বিশেষ নজরদারি: বড়দিন এবং নববর্ষের সময়ে মানুষের ভিড় বাড়ে, পাল্লা দিয়ে বাড়ে বেপরোয়া ড্রাইভিং। তাই এই সময়ে দুর্ঘটনা এড়াতে মহেশতলা ট্রাফিক গার্ডের পক্ষ থেকে নজরদারি আরও জোরদার করা হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে—একটি ভুল সারা জীবনের কান্না হতে পারে, তাই নিয়ম মেনে গাড়ি চালান।