প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট কমিটি অন ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স (CCEA) ভারতীয় রেলের ৪টি নতুন প্রকল্পে সবুজ সংকেত দিয়েছে। এই প্রকল্পগুলি রূপায়নে মোট ১১ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর মধ্যে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের জন্য, যা রাজ্যের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের জন্য বড় প্রাপ্তি: আলুয়াবাড়ি রোড-নিউ জলপাইগুড়ি লাইনে সম্প্রসারণ
এই ৪টি প্রকল্পের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের জন্য সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের আলুয়াবাড়ি রোড স্টেশন থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত বিদ্যমান রেললাইনে তৃতীয় ও চতুর্থ লাইন সংযোজন। এই লাইন সম্প্রসারণের ফলে ওই রুটে যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ আরও অনেক বেশি সুগম হবে। এর মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অংশের যোগাযোগ আরও মসৃণ হবে এবং সময়ও বাঁচবে বলে মনে করা হচ্ছে।
দেশজুড়ে আরও ৩টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প
পশ্চিমবঙ্গের এই লাইন সম্প্রসারণ ছাড়াও আরও ৩টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প এই তালিকায় রয়েছে:
মহারাষ্ট্র: ইতারসি ও নাগপুরের মধ্যে লাইনে চতুর্থ লাইন যুক্ত করা হবে।
মহারাষ্ট্র: ছত্রপতি শম্ভাজিনগর (আগের ঔরঙ্গাবাদ) ও পারভানি লাইনকে ডবল লাইনে উন্নীত করা হবে।
ঝাড়খণ্ড: ডাঙ্গোয়াপসি ও জারোলি রেললাইনে তৃতীয় ও চতুর্থ লাইন যুক্ত করা হবে।
এই ৪টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ভারতের রেল মানচিত্রে অতিরিক্ত ৫৭৪ কিলোমিটার রেলপথ যুক্ত হবে, যা দেশের রেল নেটওয়ার্ককে আরও শক্তিশালী করবে।
যোগাযোগ ও পণ্য পরিবহনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব
এই নতুন রেললাইনগুলি তৈরি হয়ে গেলে দেশের ২ হাজার ৩০৯টি গ্রামের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হবে। এই রুটের রেলপথগুলি মূলত কয়লা, জিপসাম, ফ্লাই অ্যাশ, কৃষিকাজে প্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং পেট্রোলিয়াম পণ্য পরিবহনের জন্য বিখ্যাত। লাইন সম্প্রসারণের ফলে এই পণ্য পরিবহনে আরও দ্রুততা আসবে, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এই প্রকল্পগুলি একদিকে যেমন যাত্রীদের যাতায়াতকে আরও আরামদায়ক ও দ্রুত করবে, তেমনই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহে গতি আনবে। সামগ্রিকভাবে, এই বিনিয়োগ দেশের রেল পরিকাঠামোকে আরও মজবুত করে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।