রাজ্যকে না জানিয়ে একতরফাভাবে জল ছাড়ার অভিযোগের পর অবশেষে সুর নরম করল দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (DVC)। ডিভিসি-র তরফে জানানো হয়েছে, সেচ দফতরের সঙ্গে আলোচনা করেই প্রয়োজন অনুযায়ী জল ছাড়া হবে। এর আগে শুক্রবারই ডিভিসি-র এই ভূমিকার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের তরফে কড়া চিঠিও পাঠানো হয়েছিল ডিভিসি-কে।
নবান্নের ক্ষোভ ও ডিভিসি-র জবাব
তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীর ঘরোয়া বৈঠকেও ডিভিসি-র ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি অভিযোগ করেন, ডিভিসি রাজ্যকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলে দিচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ডিভিসি রাজ্যকে কোনও আগাম নোটিশ ছাড়াই ৬৫,০০০ কিউসেক জল ছেড়ে দিয়েছে। এই ধরণের একতরফা পদক্ষেপ লজ্জাজনক এবং একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়… এটি কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, এটি ডিভিসি দ্বারা সৃষ্ট একটি দুর্যোগ।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “আমার সাফ কথা- আমি কাউকে বাংলার বিসর্জন করতে দেব না।”
মুখ্যমন্ত্রীর এই কড়া বার্তার পরই ডিভিসি-র তরফে জানানো হলো যে তারা রাজ্যকে না জানিয়ে আর জল ছাড়বে না। এদিকে, ডিভিসি-র জল ছাড়ার দরুণ রাজ্যে কী পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তা জানতে নবান্ন বিভিন্ন জেলা থেকে রিপোর্ট নিচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো জেলা থেকে বড় ধরনের প্লাবন বা দুর্যোগের খবর নবান্নের কাছে আসেনি।
লক্ষ্মী পুজোর পর তৃণমূলের বড় আন্দোলন
ডিভিসি-র ভূমিকার বিরুদ্ধে এবার বড়সড় আন্দোলনের পথে হাঁটতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, লক্ষ্মী পুজোর পরেই শাসক দল বড় রাজনৈতিক কর্মসূচী নেবে।
জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ: প্লাবিত এলাকায় নজরদারি চালাতে জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক মোকাবিলা: তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব আগেও উল্লেখ করেছেন যে ডিভিসি-র ভূমিকার রাজনৈতিক মোকাবিলা করা হবে।
অন্যদিকে, শাসক দলের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে জলাধার থেকে জল ছাড়া হয়নি।