‘ভুটানের জলেই এতবড় ক্ষতি?’, উত্তরবঙ্গে ত্রাণ তদারকিতে গিয়ে ক্ষতিপূরণ চাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

উত্তরবঙ্গের বন্যা ও দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে ফের গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল হাসিমারার পর আজ তিনি বিপর্যস্ত নাগরাকাটায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম পরিদর্শন করেন এবং পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন। মুখ্যমন্ত্রী দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন, যাঁদের বাড়ি ভেঙে গেছে, তাঁদের নতুন করে বাড়ি তৈরি করে দেবে রাজ্য সরকার।

এদিন নাগরাকাটায় মুখ্যমন্ত্রী মৃতদের পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য ছাড়াও চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন। তিনি বলেন, “হঠাৎ করে নদীর জল ঢুকে পড়ায়… যারা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে ইতিমধ্যেই আমরা ৫ লক্ষ টাকা করে দিয়েছি। আর আমি বলে গিয়েছিলাম, যারা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে একটা করে চাকরি দেব। আপনাদের এখানে নাগরাকাটায় সেই চাকরিটা আমি রেডি করে নিয়ে এসেছি। সেটা আমি দিয়ে দেব আপনাদের।”

এছাড়াও, মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, বন্যায় অনেক ছাত্র-ছাত্রীর গুরুত্বপূর্ণ নথি বা কাগজপত্র হারিয়ে গিয়েছে। সেই কারণে দ্রুত স্পেশাল ক্যাম্পের আয়োজন করা হবে। তিনি বলেন, “ছেলেমেয়েদের অনেক কাগজপত্র হারিয়ে গিয়েছে, সেই জন্য স্পেশাল ক্যাম্প করা হবে, এখানে হচ্ছে ক্যাম্প। যার যা হারিয়েছে, এখানে লেখান, তাহলে ডুপ্লিকেট কাগজ পাবেন।”

ভুটানের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি:
ত্রাণ ও পুনর্গঠনের তদারকির পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এবার দুর্যোগের কারণ হিসেবে ভুটানকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন এবং ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “ভুটানের জলে এত বড় ঘটনা ঘটেছে। ভুটানের জলে ক্ষতি হয়েছে, আমরা চাই ওরা ক্ষতিপূরণ দিক।” একই সঙ্গে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সবটাই তো আমাদের করতে হয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। না দিল্লি এক পয়সা দেয়, না কেউ এক পয়সা দেয়।” এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি পরিকাঠামো উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সহায়তার অভাব নিয়ে তাঁর ক্ষোভ উগরে দেন।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy