ভালোবেসে বিয়ে করার ট্র্যাজিক পরিণতি হলো উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে এবং তাঁকে মারধর করে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিলেন স্বামী। এর কিছুক্ষণ পরই সেই স্বামীকে ভিডিয়ো কল করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন স্ত্রী।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাতে কানপুরের রাওয়াতপুরের রামলালা মহল্লায় এই ঘটনা ঘটেছে। মৃতের নাম মোনা দিবাকর।
ঘটনার নেপথ্যে পারিবারিক অশান্তি:
জানা গিয়েছে, মোনা প্রায় সাত বছর আগে ভালোবেসে শুভম দিবাকরকে বিয়ে করেছিলেন। শুভম নিয়মিত মদ্যপান করতেন। বুধবার রাতে কাজ থেকে ফিরে তিনি মদ কেনার জন্য মোনার কাছে টাকা চান। মোনা টাকা দিতে অস্বীকার করায় শুভম তাঁকে মারধর করেন এবং স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে ঘর ছেড়ে চলে যান।
এর কয়েক মিনিট পরেই মোনা শুভমকে হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিয়ো কল করেন এবং তাঁকে হুমকি দেন যে ঘরে না ফিরলে তিনি গলায় দড়ি দেবেন। এই ফোন পেয়েই স্ত্রীকে বাঁচাতে তড়িঘড়ি বাড়িতে ফেরেন শুভম। কিন্তু ফিরে এসে দেখেন, ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ।
প্রতিবেশীদের সহায়তায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে মোনার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে এবং হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
স্বামীকে ঘিরে বিক্ষোভ ও মারধর:
মোনার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার মহিলারা স্বামী শুভমকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান এবং মারধর করেন। তাঁদের অভিযোগ, শুভম মদ্যপ অবস্থায় নিয়মিত মোনার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। শুভমের বন্ধুদের দাবি, প্রমাণ লোপাট করার জন্য তিনি তাঁর ফোনের কল লিস্ট মুছে ফেলেছেন।
শুভম একটি বেসরকারি সংস্থায় এবং তাঁর স্ত্রী বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথিদের স্বাগত জানানোর কাজ করতেন। তাঁদের একটি পুত্রও রয়েছে।
রাওয়াতপুর থানার আধিকারিক মনোজ মিশ্র জানিয়েছেন, পরিবারের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।