ভাঙা ব্রিজ, ভেসে যাওয়া চা বাগান পেরিয়ে দুর্গতদের পাশে মমতা! মৃত পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ও চাকরি দেওয়ার ঘোষণা

গত সপ্তাহের দুর্যোগে বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গের নাগরাকাটার বামনডাঙা এবং তুন্ডা শ্রমিক মহল্লায় অবশেষে সোমবার পৌঁছালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সোমবার কালীখোলা সেতু ভেঙে যাওয়ার কারণে তিনি এলাকায় প্রবেশ করতে পারেননি। কিন্তু এবার জলঢাকা, ডায়না, কুচিডায়না, গাঠিয়া— এই চার নদীর জলস্রোত বিধ্বস্ত এলাকাগুলির ১৪ কিলোমিটার গভীরে গিয়ে দুর্গতদের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী।

ভাঙা ব্রিজ, ভেসে যাওয়া চা বাগান এবং ভেঙে পড়া পাকা বাড়ির মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর এই পরিদর্শন ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৫ লক্ষ টাকা ও চাকরি: মৃতদের পরিবারের পাশে মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে গাঠিয়া সেতুতে পৌঁছান। প্রবল বৃষ্টির জেরে এই সেতুর একাংশ ভেঙে বেরিয়ে গিয়েছিল, সেই ভাঙা সেতু পার করেই তিনি বামনডাঙা এলাকায় প্রবেশ করেন। সেখানে পৌঁছে তিনি সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির খোঁজখবর নেন।

সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হলো—এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে তাঁর বড় ঘোষণা। তিনি মৃতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা এবং পরিবারের পক্ষ থেকে একজনকে চাকরির নিয়োগপত্র দেন।

নিরাপত্তা বেড়াজাল সরিয়ে দিলেন নির্দেশ
এদিন দুর্গত এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হলেও, তিনি সেই নিরাপত্তার বেড়াজাল সরিয়ে সরাসরি বাসিন্দাদের থেকে খোঁজখবর নেন।

এদিন সেখানেই দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, যতক্ষণ না সমস্ত পুনর্গঠনের কাজ শেষ হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত কমিউনিটি কিচেন (Community Kitchen) চলবে। কারোর যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেই বিষয়ে তিনি প্রশাসনিক আধিকারিকদের কঠোর নির্দেশ দেন।

এছাড়াও, রাস্তার ধারে এসে তিনি দেখেন ভুটান পাহাড় থেকে আসা ডলোমাইট নদীর স্রোতের সঙ্গে মিশে বিস্তীর্ণ চা বাগান ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সেই বিষয়টি বিশেষভাবে দেখতে তিনি আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন। পরে মুখ্যমন্ত্রী তন্ডু চা মহল্লায় গিয়ে ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং সেখানকার মহিলাদের সঙ্গে স্বাস্থ্য ও ওষুধের বিষয়ে কথা বলেন।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy