বাংলার বিনোদন জগৎ থেকে রাজনীতির আঙিনায় ফের বড়সড় ধামাকা! টলিউড অভিনেত্রী পার্নো মিত্র (Parno Mitra) এবার গেরুয়া শিবির ত্যাগ করে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। শুক্রবার ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখানোর পরই এক চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে তুলনা করেছেন পার্নো।
যোগদানের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পার্নো বলেন, “আমাদের দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ঠিকই বলেছেন, যদি আরেকটা ১৯৭১-এর মতো বিজয় চাই, তবে ইন্দিরা গান্ধীর মতো শক্তিশালী নেতৃত্বের প্রয়োজন। আর আজকের দিনে ভারতে যদি ইন্দিরা গান্ধীর মতো কোনো বলিষ্ঠ নেত্রী থাকেন, তিনি হলেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে বরানগর থেকে লড়াই করা পার্নোর এই ভোলবদল এবং ‘ইন্দিরা’ বন্দনা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক তরজা।
একসময়ের বিজেপি প্রার্থীর কেন এই মোহভঙ্গ? পার্নোর দাবি, তিনি এমন একটি মঞ্চ খুঁজছিলেন যেখানে মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ রয়েছে এবং যেখানে নেতৃত্ব সাহসী ও দূরদর্শী। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের মতে, পার্নোর মতো পরিচিত মুখ দলে আসায় ঘাসফুলের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ভিত্তি আরও মজবুত হবে। তবে বিরোধীরা ছাড়তে নারাজ। বিজেপি ও বাম শিবিরের পক্ষ থেকে একে ‘সুবিধাবাদী রাজনীতি’ এবং ‘ব্যক্তিকেন্দ্রিক চাটুকারিতা’ বলে কটাক্ষ করা হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ১৯৭১-এর প্রেক্ষাপট টেনে মমতাকে ইন্দিরার সঙ্গে তুলনা করা আসলে আসন্ন নির্বাচনের আগে তৃণমূলের রণকৌশলেরই অংশ। পার্নো ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি কেবল গ্ল্যামার বাড়াতে নয়, বরং সক্রিয় রাজনীতির ময়দানে লড়াই করতেও প্রস্তুত। এখন দেখার, পার্নোর এই নতুন ইনিংস তৃণমূলের পালে কতটা হাওয়া দেয়।