বিজয়া দশমীর দিন গুজরাটের ভূজ মিলিটারি বেস থেকে পাকিস্তানকে তীব্র হুঁশিয়ারি দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। শস্ত্রপুজো সেরে তিনি স্পষ্ট বার্তা দেন যে, যদি স্যর ক্রিক এলাকায় পাকিস্তান সেনা আরও সামরিক পরিকাঠামো তৈরি করে, তাহলে ভারত এমন মোক্ষম জবাব দেবে যাতে পাকিস্তানের ইতিহাস ও ভূগোল বদলে যাবে।
শস্ত্রপুজো ও কচ্ছের রান থেকে বার্তা
দশমীর দিন ভূজ বেসে সেনার সঙ্গে অস্ত্রশস্ত্রের পুজো দেন রাজনাথ সিং। বিশেষভাবে পুজো করা হয় এল-৭০ এয়ার ডিফেন্স গান-এর, যা অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন ব্যবহার হয়েছিল। এরপর কচ্ছের রানে স্যর ক্রিক জলপথের কাছে গিয়ে মোতায়েন সেনাদের সাহসিকতার প্রশংসা করেন তিনি।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “স্বাধীনতার ৭৮ বছর পরও সীমান্ত সমস্যা উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছে পাকিস্তান। ভারত আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চাইছে, কিন্তু ইসলামাবাদের উদ্দেশ্য অস্পষ্ট নয়।” তিনি অভিযোগ করেন, স্যর ক্রিক এলাকায় পাকিস্তান সেনা একেবারেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সামরিক পরিকাঠামো বৃদ্ধি করছে।
“করাচি যাওয়ার রাস্তা কিন্তু স্যর ক্রিক দিয়েই যায়”
স্যর ক্রিক হলো ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এক জলপথ যা গুজরাটের কচ্ছ ও পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশকে আলাদা করেছে। এই জলপথের সীমান্ত নির্ধারণ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিবাদ রয়েছে।
রাজনাথ সিং এদিন অতীতের যুদ্ধের ইতিহাস টেনে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দেন:
১৯৬৫ সালের যুদ্ধ: তিনি মনে করিয়ে দেন, ১৯৬৫ সালের যুদ্ধে ভারতীয় সেনা লাহোর অবধি পৌঁছে যাওয়ার ক্ষমতা দেখিয়েছিল।
ভৌগোলিক হুঁশিয়ারি: তিনি পাকিস্তানকে সতর্ক করে বলেন, “আজ পাকিস্তান ভুলে যেও না, করাচি যাওয়ার একটা রাস্তা কিন্তু স্যর ক্রিক দিয়েই যায়।”
অপারেশন সিঁদুর: তিনি বলেন, অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তান লেহ থেকে স্যর ক্রিক পর্যন্ত ভারতের প্রতিরক্ষা ভাঙার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ভারতীয় সেনা পাক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ভেঙে দিয়ে গোটা বিশ্বকে বার্তা দেয় যে ভারত চাইলে পাকিস্তানকে ভয়ানক ক্ষতি করতে পারে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেষে বিএসএফ ও সেনাদের সাহসিকতার প্রশংসা করে বলেন, “আমাদের জওয়ানরা সীমান্তে সবসময় নজরদারিতে রয়েছেন। পাকিস্তান যদি কোনও দুঃসাহস দেখায়, তার জবাব এমন দেওয়া হবে যা ইতিহাসে লেখা থাকবে।”